দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কর্মী মানুষের বেশিরভাগ সময় কাটে কর্মক্ষেত্রে। এই কাজের ফাঁকেই কখন যে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায় কেইবা বলতে পারে? ভালো লেগে যেতেই পারে কাউকে। হাজার কাজের ব্যস্ততার মাঝেও চোখ তাঁকে খোঁজে। এমন অবস্থা যদি আপনার হয় তাহলে পরের প্রশ্ন, প্রাণের মানুষের মন জয় করবেন কীভাবে? কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
‘প্রেমে পড়া বারণ কারণে অকারণ…’, প্রথমেই জানবেন এমন কোনও বারণ আপনার অফিসের HR পলিসিতে নেই তো! কর্মক্ষেত্রে প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পারমিশন কি আছে? যদি না থাকে তাহলে অফিসের চৌহদ্দির বাইরেই মেলামেশার চেষ্টা করুন। সেখানে তো কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।
কাজের পাশাপাশি মানুষের চরিত্রও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই নিজের চরিত্রের দিকে নজর রাখুন। কাজের সময় ভাল হওয়ার পাশাপাশি কলিগদের সাহায্য করুন। সমস্যায় তাঁদের পাশে দাঁড়ান। এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট মানুষকে আকৃষ্ট করে। তাই অফিসে ভালো কর্মী হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হয়ে উঠুন।
ঈশ্বর দেখার শক্তি দিয়েছেন তাই সর্বত্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন, এমন কাজটি অফিসে খবরদার করবেন না। কোনও কলিগকে যদি সত্যিই পছন্দ হয় তবে দৃষ্টি তাঁর দিকেই রাখুন। সবার দিকে তাকানো বা সবার সঙ্গে ফ্লার্ট করার মতো কাজগুলি ভুল করেও করবেন না।
কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা জরুরি। তাই কাজের মধ্যে থাকুন। পছন্দের মানুষকে দিনে-রাতে বোঝানোর প্রয়োজন নেই আপনি তাঁকে পছন্দ করেন। কাজের সময় মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যান৷ আপনার অভাব ও শূন্যতা তাঁকে টের পেতে দিন।
অফিসের কাউকে আপনার পছন্দ হয়েছে। একথা পাঁচকান না করাই ভালো। কার মনে যে কী অভিসন্ধি থাকে তাতো কেউ বলতে পারে না। তাই যদি পছন্দের মানুষকে কিছু বলতে বা জানাতে হয় তাহলে সরাসরি বলুন বা জানান।
সহকর্মীদের সঙ্গে চা খেতে যান, মাঝেমধ্যে লাঞ্চ সারুন এবং আড্ডা দিন। মনে রাখবেন একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর কোনও বিকল্প নেই। তবে প্রথমটায় লাঞ্চ হোক বা চা খাওয়া সবটাই গ্রুপের সঙ্গেই সারুন। পরে ‘তিনি’ অনুমতি দিলে আলাদা সময় করে লাঞ্চ করতে যান।
সবশেষে একটা কথা জেনে রাখা খুব জরুরি। কাউকে পছন্দ করার আগে তাঁর রিলেশনশিপ স্টেটাস জেনে নিন। তারপরই সেদিকে অগ্রসর হোন। মনে রাখবেন, ভালোবাসা এবং কাজ উভয় ক্ষেত্রেই সৎ চেষ্টার কোনও বিকল্প নেই।