দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চুলের হাল ফেরাতে নিয়মিত ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন আপনি। ডাবের জল দিয়ে চুল ধুলে কী কী উপকার পাবেন, তা জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই? এই নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল প্রবন্ধে, ঝটপট জেনে নিন আর দেরি করবেন না।
এই ‘ম্যাজিক’ উপাদানটির নাম জানেন?
চুলের স্বাস্থ্য় ফেরাতে কার্যকরী সেই প্রাকৃতিক উপাদানটি হল ডাবের জল। নানা গুণে ঠাসা এই উপাদান হেয়ার রিন্স হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের হাল ফিরতে যেমন সময় লাগবে না, তেমনই কমবে হেয়ার ফল।
রয়েছে এসব উপকারী উপাদানও
হেলথলাইন জানাচ্ছে, ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সন্ধান মেলে, যা স্ক্যাল্পের অন্দরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। সেই সঙ্গে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে যেমন লড়ে, তেমনই ফ্রি ব়্যাডিকাল ধ্বংস করতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
এদিকে ডাবের জলে পাওয়া যায় ভিটামিন বি এবং পটাশিয়ামও। আর এই ২ উপাদান চুলের জন্যে খুবই উপকারী। তাছাড়া ডাবের জলের অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে, যে কারণে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। ফলে সহজে সংক্রমণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে।
ডাবের জল ব্যবহারে চুলের হাল ফিরবে
ডাবের জলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা চুলের এলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ফলে সহজে চুল ভেঙে যাবে না বা গোড়া থেকে উঠে আসার সম্ভাবনাও থাকবে না। এদিকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ডগা চেরা চুলের সমস্যাও।
এদিকে ডাবের জলে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম হেয়ার ফলিকলে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির যোগান দেবে। ফলে চুলের বৃদ্ধি হবে দেখার মতো। তাই নিয়মিত ডাবের জল ব্যবহারে চুল যে আরও ঘন হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
পাবেন এসব উপকারও
স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য নষ্ট হলে কিংবা শরীরে কোনও পুষ্টির ঘাটতি হলে চুলেও ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে। এই সমস্যার সমাধানে ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন।
স্ক্যাল্পে পিএইচ-এর মাত্রা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডাবের জল। তাই আপনার চুলের টেক্সচার উন্নত হতে সময় লাগবে না। ফলে মিলবে রেশমের মতো নরম চুল।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রথমে শ্যাম্পু করে নিন। তারপরে সাধারণ জলে চুল ধুয়ে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এবার আলাদা একটি বোতলে ডাবের জল তুলে রাখুন। তারপর সেই জল দিয়ে আপনার চুল ওয়াশ করে নিন ভালো করে। ডাবের জল চুলে লাগানোর সময়ে স্ক্যাল্প এবং হেয়ার মাসাজ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে চুলের যত্ন নিন, আর ফলাফল দেখুন নিজের চোখেই।