কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর : “ওরা পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। গাড়ি ভেঙে দিতে পারে।'’ রাজ্যে একের পর এক বোমা উদ্ধার, বিস্ফোরণ থেকে কাঁথির সভার আগে অভিষেকের ভিডিও হুঙ্কার নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ভগবানপুরে অভিষেকের সভাস্থলের অদূরে বিস্ফোরণে নেতার মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের ঘাড়েই দোষ চাপান তিনি। বলেন, ‘ক্ষমতা ধরে রাখতে দুষ্কৃতীদের দলে ঢুকিয়েছে তৃণমূল’। তিনি আরও বলেন, ‘যেখানেই বিস্ফোরণ, সেখানেই তৃণমূল’। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মন্তব্য, “মুক্ত গণতন্ত্র। শান্তিপূর্ণ ভোট। এসব ডায়লগ শুনি। মানুষ বুঝতে পারছে ৫০০ টাকা নিয়ে কাদের ক্ষমতায় এনেছে’। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস ময়দানে শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সভা। ঠিক তার আগে সভা মঞ্চ বাধার সময় উঠল দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ! জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা নতুন কিছু না। আমি বিগত সাত বছর ধরে এ জিনিস দেখে আসছি। হয় সভা করতে দেওয়া হয়না। নয় সবকিছু ভেঙে দেওয়া হয়। এরা বলে মুক্ত গণতন্ত্র। শান্তিপূর্ণ ভোট। এসব ডায়লগ শুনি। বাস্তবে বোঝা যায় পরিস্থিতি কি। ওরা বাঁচার জন্য শক্তি, গুন্ডামির আশ্রয় নেয়। ' সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলনেতার সভা। তার সুরক্ষা যদি রাজ্য পুলিশ দিতে না পারে তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। দিলীপ ঘোষ তুলে আনেন বিধানসভা ভোটের আগে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গ।