kolkata

1 week ago

Sukanta Majumdar:বালুরঘাটে সুকান্তকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান,পুলিশের সঙ্গে বচসা, রিপোর্ট তলব

Sukanta Majumdar Balurghat Bjp Candidate
Sukanta Majumdar Balurghat Bjp Candidate

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তপনের পতিরামপুরে বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। আক্রান্ত নেতার নাম জ্যোতিষ রায়। তাঁকে বুথের বাইরেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যাম্প বসানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বালুরঘাটের একটি বুথে বিজেপি কর্মীদের থেকে অভিযোগ পান সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপি বুথ কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পান তিনি। এরপরেই সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী। তিনি বুথে যেতেই তাঁকে লখ্য করে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় সুকান্ত মজুমদারকে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুরঘাটের পতিরাম গার্লস স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। এই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল ভোটারদের প্রভাবিত করছিল বলে অভিযোগ। তাতে বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায় বাধা দিলে তাকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূলের কর্মীরা।

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা ভোট কেন্দ্রের সামনে ‘জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছে। এটা দেওয়া যায় না। বিজেপি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছে। দুই পক্ষের বচসায় কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ধস্তাধস্তি শুরু হয় ভোট কেন্দ্রের সামনে। তৃণমূল কর্মীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় সুকান্ত মজুমারকে। পরিস্হিতি উত্তপ্ত হলে নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বুথে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সুকান্ত মজুমদার জানান, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। বালুরঘাটের আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘বালুরঘাটের আইসিকে সরাতে হবে. না, হলে এ রাজ্যে কোনওভাবেই নিরপেক্ষভাবে ভোট করা যাবে না। সুকান্ত বলেন, ‘আইসিকে পরিষ্কার বলছি, হয় ব্যবস্থা নিন , না হয় আপনার চাকরি যাবে।’ অন্যদিকে, বালুরঘাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বুথ নিয়ে সকাল থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ভোটারদের অহেতুক হয়রানি এবং মারধর করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মারধর করছে বলে অভিযোগ। পরিস্হিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি। বিশাল পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয় ওই কেন্দ্রে। তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেল থেকে বলা হয়, ‘সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর তাণ্ডবে অশান্তির পরিবেশ বালুরঘাটে। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, উল্টে পুলিশের আইসিকে চাকরি হারানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দু’জন আইসিকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে, পরে আবার তিনি জানিয়েছেন।’


You might also like!