দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চড়চড়ে রোদ মাথার উপর। তাই নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আজ কিছুটা বিরক্ত হতে দেখা গেল তাঁকে। কল্যাণের দাবি, কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি কাঞ্চনকে তাঁর সঙ্গে গ্রামে প্রচারে যেতে মানা করেছেন। যদিও এ বিষয়ে কাঞ্চনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তিনি দীর্ঘ দিনের সাংসদ। সেই কল্যাণ শ্রীরামপুরে আবার নেমেছেন জনপ্রিয়তা যাচাই করতে। ভোটের আগে দিনভর প্রচার করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালেও কোন্নগরের স্টেশন রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে তেমনই বেরিয়েছিলেন প্রচারে। উদ্দেশ্য, কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিবিড় জনসংযোগ চালানো। হুড খোলা গাড়িতে আরও কয়েক জনের পাশাপাশি কল্যাণের সঙ্গেই ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন। কিন্তু প্রচার শুরুর আগেই কাটল তাল। কারণ, কল্যাণ চাননি তাঁর প্রচার গাড়িতে থাকুন কাঞ্চন। সে কথা কল্যাণ জানান কাঞ্চনকে। তার পরেই উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণের প্রচার গাড়ি ছেড়ে নেমে যান। তার পর এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। কাঞ্চনের অনুগামীদের সূত্রে খবর, তিনি কলকাতায় ফিরে যাচ্ছেন। এই ঘটনার জেরে শুরুতেই তাল কাটে কল্যাণের প্রচারের।
কল্যাণ বলছেন, ‘‘উনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কি হননি, আমি জানি না। আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরোচ্ছেন তখন গ্রামের মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, ‘গ্রামে এসো না।’ আর আমার সঙ্গে প্রচারে শুধু কেন থাকছেন? এক জন বিধায়ক, তিনি তো নিজেও প্রচার করতে পারেন, তা তো করছেন না। আমি ব্যক্তিবিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। এক জনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।’’
এ বিষয়ে কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া নিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি বিধায়ক। তিনি কলকাতা ফিরে গিয়েছেন বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। প্রসঙ্গত, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব সম্প্রতি আবার বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। যদিও কল্যাণ স্পষ্ট করেননি, গ্রামের মহিলারা ঠিক কোন কারণে কাঞ্চনকে নিয়ে আপত্তি করছেন?