দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাল শিখ সংগঠন। রবিবার নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সংগত’। সেখানে তারা লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে যেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে প্রচারে অংশগ্রহণ না করতে দেওয়া হয়।
অশান্তি চলাকালীন উত্তপ্ত সন্দেশখালি পরিদর্শনে যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধামাখালির কাছে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে আটকায় পুলিশ। সেই দলে ছিলেন ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশাল সুপার, আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিং। শিখ সম্প্রদায়ের ওই আইপিএসের মাথায় স্বভাবতই পাগড়ি ছিল। অভিযোগ, তা দেখেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি ‘ওটা খলিস্তানি’ বলে কটাক্ষ করেন। তাতে রেগে যান ওই পুলিশ অফিসার।
প্রশ্ন করেন, “আমার মাথায় পাগড়ি দেখে খলিস্তানি বলছেন? এ কেমন কথা?” উভয়ের তর্কবিতর্কে ধামাখালির কাছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি সতর্কও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের তীব্র বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেই শিখ সংগঠনের দাবি, শিখ আইপিএস অফিসারকে ‘খলিস্তানি’ বলায় তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে কোনওভাবে ভোটপ্রচার করতে দেওয়া উচিত নয়। নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে তাঁদের আর্জি বিবেচনা করার দাবি জানানো হয়েছে। ‘খলিস্তানি’ ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েও চিঠি দিয়েছে শিখ সংগঠন।
এমন দাবি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমত শুভেন্দুবাবু কখনওই এমন মন্তব্য করেননি। তিনি তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। আসলে তৃণমূল ছদ্মবেশে কয়েকজনকে এ সব করতে ময়দানে নামিয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরনের দাবি করার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ভাবে বিজেপি বা শুভেন্দু অধিকারীকে দুর্বল করা যাবে না। লোকসভা ভোটে নিশ্চিত হারের কথা বুঝতে পেরেই এমন সব প্রয়াস চালাচ্ছে শাসকদল। ওদের এমন ষড়যন্ত্র সফল হবে না। রাজনৈতিক লড়াইয়ে সফল হবে না জেনেই ঘুরপথে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’