দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : হাই কোর্টের নির্দেশ সন্দেশখালির জমি জবরদখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার সম্পর্কিত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। এই নিয়েই এবার বেফাঁস কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।বৃহস্পতিবার ফিরহাদ বললেন, সিবিআইকে এখন আর কেউ মানেই না! ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তুলনা করে বসলেন কলকাতার মেয়র।
ইদের সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তখন তাঁকে সন্দেশখালি মামলার রায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''সিবিআইয়ের হাল ট্র্যাফিক পুলিশের মতো হয়েছে। কোনও অস্তিত্ব নেই। ট্র্যাফিক পুলিশকে যেমন কেউ মানে না, সিবিআইকেও কেউ মানে না!'' এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে তাঁর মন্তব্য, সিবিআইকে যা করে দেওয়া হয়েছে তাতে ওদের আরও কেউ মানে না। ফিরহাদের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
বিজেপির তরফে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে কলকাতার মেয়রের। রাজ্যের মন্ত্রী হয়েই বলছেন পুলিশকে কেউ মানে না। এটাকে সেমসাইড গোল বলা যায়। বিপদের সময়ে মানুষ এভাবেই আচরণ করে। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলছেন, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের শাস্তি হবেই। ইডি-সিবিআই থেকে কেউ মুক্তি পাবে না।
বুধবারই বিচারব্যবস্থা এবং বিচারপতিদের প্রতি ‘সম্পূর্ণ আস্থা’ রেখে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, কোনও সরকার বিরোধী কড়া নির্দেশ এলেই মনে হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চলে গেছেন, কিন্তু কয়েকটি ছায়া রেখে গেছেন! আদালতের মধ্যে সরকার বিরোধী, তৃণমূল বিরোধী, বিজেপি পন্থী মনোভাব কাজ করছে। দাবি করেন তিনি।
যদিও সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এদিন দাবি করেন, ''সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভাল হবে।'' ইতিমধ্যেই এই মামলায় ইডি তদন্ত করছে। সে নিয়েও সন্দেশখালির 'মুকুটহীন বাদশা'র মন্তব্য, সবটাই ভাল হবে।