দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এফআইআর দায়ের হল গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিয়োর ঘটনায় ? আজ এই প্রশ্নই তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ৷ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনায় সরাসরি এভাবে এফআইআর দায়ের করা যায় না ৷ এর জন্য প্রথমে ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে তদন্ত করে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷ তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে ৷একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন, জমি দখলের অভিযোগের ঘটনায় একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে। যা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল ও তাঁর ছেলে জ্যোতির্ময় কয়াল। অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ফেক ভিডিও (Fake) বানিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদনের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়।
যদিও মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে আদালতে তথ্য দিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) কিশোর দত্ত জানান, “সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মাম্পি দাস মণ্ডল নামে এক মহিলা একটি মামলা করেছেন৷ শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে গোটা সন্দেশখালির ঘটনাক্রমের তদন্তের আবেদন করেছেন তিনি৷ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনানি হতে পারে। ফলে হাই কোর্ট আপাতত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখুক৷” এজি আরও উল্লেখ করেন, “সন্দেশখালি সংক্রান্ত সব মামলা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বিচারাধীন। ফলে এই মুহূর্তে এই মামলার শুনানি সিঙ্গল বেঞ্চে না-হওয়াই ভালো।”
এজির এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয় উচ্চ আদালত। তবে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বিচারপতির মন্তব্য, “ভাইরাল হওয়া ভিডিও সত্যি কি না, তা প্রমাণিত নয়। ফলে এক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ কি না, তাও প্রমাণ হয়নি। তাই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া এফআইআর কীভাবে দায়ের হল?”