kolkata

1 week ago

Rachna Banerjee:‘আগে হাসিটা দারুণ ছিল, এখন লোকে পাগল বলে’!নিজের মিম নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের রচনা?

Rachna Banerjee
Rachna Banerjee

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  হুগলি  লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটপর্দার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ লোকসভার প্রার্থী হওয়া ইস্তক তাঁর মন্তব্য এবং শরীরীভাষা নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিমের ছড়াছড়ি। বিশেষত নায়িকার হাসি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ভিডিয়ো। সেগুলো নিয়ে তিনি নিজে অবহিত। ভোটবাজারে যখন বাক্যবাণ নিয়ে তপ্ত বিভিন্ন মহল তখনই রাজনীতিকদের মন্তব্য নিয়ে মিম বানাতে সক্রিয় অনেকে। আর এই মিমকে 'সাপোর্ট করেন', এবার এই মন্তব্য শোনা গেল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তাঁর 'ধোঁয়া ধোঁয়া' মন্তব্য হোক বা দই নিয়ে করা মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই মিম হয়েছে। কিন্তু, সদা হাসিখুশি থাকা 'দিদি নং ১' সবকিছুতেই আলো বাতাস চলাচলের রাস্তা খোঁজেন। যদি মিম দেখে মানুষের মুখে হাসি ফোটে, ক্ষতি কী? মঙ্গলবার মগরার খেজুরিয়াতে প্রচারে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'মিম যাঁরা করেন আমি তাঁদের সমর্থন করি।' এদিন রচনা বলেন, 'আগে হাসিটা দারুন ছিল। এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল।'

তাঁর সংযোজন, 'ভাবছি আজ কী নিয়ে বলি! আমি হাসলেও সমস্যা, না হাসলেও সমস্যা। মিম করলে ঠিক আছে। যে কোনও প্রচারই তো প্রচার। আমি ভীষণ পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। আমি মিম করার বিষয়টির মধ্য়েও পজিটিভিটি দেখি, নেগেটিভ কিছু দেখি না। কারণ যাঁরা এই ধরনের মিম করেন তাঁদের লাইক সাবস্ক্রাইবার দরকার। এটা তাঁদের রুজি রোজগার। আমি তাঁদের সমর্থন করি।'

এদিন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, 'জয়ের ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত। তাই কোনও টেনশন নেই।' প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে কখনও দই খেয়ে, সিঙ্গুরের সবুজায়ন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। কখনও গরম ঘুগনি খেয়ে প্রশংসা করেছেন, আবার কখনও আলু পোস্ত খেয়ে বাহবা দিয়েছেন। আর তা নিয়ে মিম হতে বেশি সময় লাগেনি।

পাশাপাশি সিঙ্গুরে শিল্পায়ন প্রসঙ্গে তাঁর ‘চারিদিকে ধোঁয়ায় ধোঁয়া’ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর মিম হয়েছিল। তবে পরে একটি ভিডিয়ো করে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, মিম ব্রিগেড তাও ছাড়েননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এই সমস্তকিছু নিয়ে খুব একটা বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ অভিনেত্রী। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এই সমস্ত মিম তিনি দেখেছেন এবং মজাটাকে মজার মতো করে নিয়েছেন। অতিরিক্ত ভাবনা চিন্তা এই নিয়ে করতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁর একদা সতীর্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন দেখার নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসার পর শেষ হাসি কে হাসেন?


You might also like!