দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কমবেশি সকলেরই পায়ুদ্বার এবং নিতম্বের কাছে লোম থাকে। কারও বেশি, কারও কম। কারও ক্ষেত্রে লোম এতটাই পাতলা হয়, যা দেখা যায় না। কিন্তু এটি প্রায় সকলেরই থাকে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি এর ভূমিকাটি আসলে কী?
শরীরের প্রতিটি অঙ্গেই যে লোম থাকে, তার কোনও না কোনও ভূমিকা রয়েছে। এই যেমন মাথায় যে চুল থাকে, তার কারণ তাপ এবং আঘাত থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করাটাই এই তুলের কাজ। একই রকম ভাবে শরীরের অন্য অঙ্গের লোমেরও ভূমিকা আছে।
যেমন ধরা যাক, চোখের পাতায় থাকা লোমের কথা। এগুলি চোখকে ময়লা থেকে রক্ষা করে। আবার নাকের ভিতরে থাকা লোমও একই কাজ করে। বাইরের জীবাণু বা ময়লা যাতে নাকে না ঢোকে, সেটি দেখে।
বগলের লোমের সঙ্গে আবার সম্পর্ক আছে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখারা এবং ফেরোমোন ছড়ানো। এর সঙ্গে যৌনক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। গোঁফদাড়ির মুখের ত্বককে রক্ষা করে। এভাবেই শরীরের প্রতিটি ক্ষেত্রের লোমের ভূমিকা খুঁজতে গেলে বিবর্তনের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, পশ্চাদ্দেশে থাকা লোমের কাজ কী? বর্তমানে মানুষের যে লোমের খুব একটা দরকার পড়ে, তাও নয়। কিন্তু এই লোমে ঢাকা অঙ্গগুলি থেকে গিয়েছে বিবর্তনের সাক্ষী হিসাবে। সেক্ষেত্রে নিতম্ব এবং পায়ুদ্বারের লোমের কাজটি ঠিক কী? বা এটি বিবর্তনের কোন কথা বলে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই লোমের সঙ্গে বিবর্তনের সম্পর্ক আছে বটে। পাশাপাশি বর্তমানেও এগুলির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার এর পরিমাণও বেশি। এবার জেনে নেওয়া যাক, এগুলি কোন কাজে লাগে।
নিতম্ব এবং পায়ুদ্বারের লোম সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলির প্রধান কাজ হল, হাঁটার সময় নিতম্বের দুই ত্বকের মধ্যে ঘর্ষণজাত ক্ষয় আটকানো। এগুলি না থাকলে ওই এলাকার ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বিবর্তনের সঙ্গে অনেক কিছু শরীর থেকে অবলুপ্ত হলেও এগুলি থেকে গিয়েছে, কারণ এগুলির প্রয়োজন এখনও হয়।
তবে কারও কারও এই লোম বেশি হয়। গবেষণা বলছে, পিসিওএসের মতো সমস্যা থাকলে এগুলি বেশি হতে পারে। অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ক্ষরণ বেশি হলেও এটি হতে পারে। এই এলাকার লোমের বাড়াবাড়ির কোনও লক্ষণ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।