দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝে একাধিক বিজেপি নেতার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধারের খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। এবার তার সঙ্গে নাম জুড়ল দাসপুরের এক বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার। তাঁর কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক ২৪ লক্ষ টাকা! এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অনেককেই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এ সব পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে তৃণমূল!’’
ভোটের এক দিন আগে ঘাটাল লোকসভার দাসপুর থানার খুকুড়দা এলাকায় নাকা চেকিং-এর সময় পুলিশ এই টাকা উদ্ধার করেছে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে। তবে অর্থের পরিমাণ ২৪ লক্ষের থেকে বাড়তেও পারে কারণ নোট গোনা এখনও চলছে।পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই টাকার বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি কেউ। এছাড়া উদ্ধার হওয়া টাকা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে ব্যাপারেও কেউ মুখ খুলছে না।
এই ঘটনার শাসক দল তৃণমূল দাবি করেছে, ভোটের সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই টাকা সেই কাজেই ব্যবহার করা হত। পুলিশ চেকিংয়ে তা ধরা পড়ে গেছে। তবে বিজেপির দাবি, তাঁদের নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর এর নেপথ্যে আছে তৃণমূল।
মালদহে পরপর টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বাংলায়। দুটি পৃথক ঘটনায় দুজন বিজেপি নেতার কাছ থেকে ২ লক্ষ এবং সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এরপর সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের 'ঘনিষ্ঠ'র কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫ লক্ষ টাকা।
গত ২৯ এপ্রিল মালদহে শান্তনু ঘোষ নামের এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। পুলিশের নাকা চেকিং করার সময় উদ্ধার হয়েছিল সেই নগদ অর্থ। ওই বিজেপি নেতাকে আটক করে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। এরপর ১ মে মালদহের রতুয়ায় এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। টাকা উদ্ধারের ভিডিও দেখিয়েছিল তৃণমূল। শুক্রবারের ঘটনার আগে খড়্গপুরের এক হোটেলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকারও কিছু বেশি উদ্ধার করে পুলিশ।