দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রমজান শুরু হওয়ার আগে আল-আকসা মসজিদে প্যালেস্তাইন নাগরিকদের প্রবেশ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল। মসজিদে প্যালেস্তাইন নাগরিকদের প্রবেশের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিল দেশটি। রমজান উপলক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
আল-আকসায় প্রবেশ নিয়ে কী বলেছে ইজরায়েল
আল-আকসায় মসজিদে প্যালেস্তাইন নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইজরায়েল। তবে, রমজান উপলক্ষ্যে প্রতি বছর প্যালেস্তিনীয়দের প্রবেশের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়ে থাকে। কিন্তু ৭ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনার পর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার উপর জোর দিয়েছিলেন ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রকের মন্ত্রী ইতামার বেন গভির।
কিন্তু এরপরেই রমজান উপলক্ষ্যে নমাজ পাঠের অনুমতি দেওয়ার জন্য তেল আবিবের উপর তৈরি হয় চাপ। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রমজানের প্রথম সপ্তাহে প্যালেস্তিনীয়দের মসজিদে নমাজ পাঠের অনুমতি দেওয়া হবে। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন আল-আফসায় নমাজ পাঠের অনুমতি দিল ইজরায়েল
গত বেশ কয়েক বছর ধরে আল-আকসা মসজিদে নমাজ পাঠের অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইজরায়েলে এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার মধ্যে তেল আবিবের সঙ্গে হামাসের সংর্ঘষের পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। রমজান উপলক্ষ্যে আল -আকসায় নমাজ পাঠের অনুমতি না দেওয়া হলে, পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছিল ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি নমাজ পাঠের উপর ইজরায়েলের জারি করা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছিল আমেরিকাও।
আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে রমজান। প্রতি বছর রমজানের সময় হাজার হাজার প্যালেস্তাইন নাগরিক আল-আকসা মসজিদে প্রার্থনা করতে আসেন। রমজানের সময় সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে এখন চুক্তি হয়নি। তা সত্বেও গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্যালেস্তাইন নাগরিকদের আল-আকসায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আল-আকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন
মক্কা ও মদিনার পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে মনে করা হয়। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমরা এই মসজিদে আসেন। আল-আকসা চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থাপত্য। কোনওটি মুসলমানদের, কোনওটি ইহুদিদের এবং কোনওটি আবার খ্রিষ্টানদের। আর এই ধর্মীয় স্থাপত্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তিনটি ধর্মের ইতিহাস।