দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- জনশ্রুতি যে এই মন্দিটিতে এসেছিলেন পণ্ডিবেরা। এই মন্দিরটির বয়স প্রায় ৫ হাজার বছর। সিন্ধু সভ্যতার যুগের এই মন্দিরটি পাকিস্তানের চকওয়াল জেলা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কথিত আছে, এই মন্দিরটি নাকি মহাভারতের আমলে তৈরি। ভক্তদের কাছে এই মন্দির কটাসরাজ মন্দির নামে খ্যাত।
মন্দির কমপ্লেক্সে রয়েছে এই কমপ্লেক্সে সাত বা ততোধিক মন্দির রয়েছে। এই সাত মন্দির একত্রে সাতগ্রহ নামেও পরিচিত। মহাভারতে এই মন্দিরের বর্ণনা রয়েছে। মন্দিরে নাকি সতীর বিরহে আজও কেঁদে বেড়ান দেবাদিদেব মহাদেব।
এই মন্দির নিয়ে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত। তার মধ্যে একটি বিশেষ কাহিনী হলো,ধর্মপ্রাণদের বিশ্বাস, যেই জলাশয়ের চারপাশে কটাসরাজ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি নাকি ভগবান শিবের চোখের জলে ভরা। কটাস শব্দের অর্থ চোখের জল। কথিত আছে, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্ত্রী সতীর সঙ্গে এখানে বাস করতেন। সতীর দেহত্যাগের পর শোকাহত শিব তাঁর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি এত কাঁদেন যে, তাঁর কান্না থেকে দুটি জলাশয় তৈরি হয়। একটি পাকিস্তানের কটারাসরাজে আর অন্যটি রাজস্থানের পুষ্করে। মন্দিরে অবস্থিত এই জলাশয়টিকে কটাক্ষ কুণ্ড নামেও ডাকা হয়। জলাশয় এবং মন্দিরের মানটি আজও মহাদেবের মনের কষ্ট প্রকাশ করে।