দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ৯৬টি বেসরকারি বিএড কলেজকে দেওয়া হল না অনুমতি। প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। মঙ্গলবারই বিজ্ঞাপন দিয়েছে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ১৪টি কলেজকে অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের কথায়, ৯৬টি কলেজকে অনুমোদন না দেওয়ায় প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বহু শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত।
তবে কলেজগুলি অনুমোদনের আশা এখনও ছাড়তে নারাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছিল, ২৫৩টি কলেজে পরিকাঠামো জনিত বিভিন্ন সমস্যার বিষয় সামনে আসার ফলে তাঁরা অনুমোদন দিতে পারেননি। এরপরেই আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ মালিক সংগঠনগুলি। মামলার জন্য কয়েকটি কলেজকে ধাপে ধাপে দেওয়া হয় অনুমোদন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, শিক্ষকদের পরিসংখ্যান, তাঁদের প্রাপ্ত বেতন এবং পরিকাঠামোর হিসাব যদি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হবে অনুমতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় তা অনুযায়ী ৫২৮টি কলেজকে দেওয়া হয়েছে অনুমতি।
কিন্তু, যে কলেজগুলিকে ইতিমধ্যেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলিতে নতুন করে এই বছর পড়ুয়া ভর্তি করা যাবে না। পাঁচ মাস আগেই ভর্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, যে ৯৬টি কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি সেখানে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যে সমস্ত পড়ুয়ারা সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের ভবিষ্যৎ ঠিক কোন খাতে প্রবাহিত হবে, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞ মহলের কথায়, এই নিয়ে আগেই যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে একাধিক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ এভাবে প্রশ্নের মুখে পড়ত না।
বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সোমা মুখোপাধ্যায়। যদিও কলেজ মালিক সংগঠনগুলি আশাবাদী ৯৬টি কলেজেও অনুমোদন দেওয়া হবে এবং সেখানে পড়ুয়াদের ভর্তি করা সম্ভব হবে।
শুধু পড়ুয়ারা নয়, একাধিক শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই ৯৬টি কলেজকে অনুমোদন দেওয়া না হলে সেখানে পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হবে। শুধু তাই নয়, পঠন পাঠন বন্ধ রাখলে এই শিক্ষাকর্মীদের ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে কলেজগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয় কিনা এবং পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎই বা কোন দিকে মোড় নেয়, এখন তাই দেখার।