রায়গঞ্জ, ৮ অক্টোবর : চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধা রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার ও হেনস্থার শিকার হন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রাতেই লিখিত অভিযোগ জানান পুলিশে, অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতেই একজনকে আটক করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গত রবিবার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিহার কুমারজোলের বাসিন্দা নূর নেহার খাতুনকে(৬২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চার তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শারীরিক পরিস্থিতি ভালো না থাকায়, বৃদ্ধার ভর্তির সময়েই ‘হাই রিস্ক কনসেন্টে স্বাক্ষর’ করে পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃদ্ধার সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল। একসময় মাল্টি অর্গান ফেলিয়রও হয়। তারপর সোমবার রাতেই চিকিৎসা চলাকালীন আচমকাই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এরপরই ফিমেল ওয়ার্ডের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত।
মৃতার পরিবারের দাবি, আমাদের রোগীর স্থিতিশীল অবস্থা ছিল। আচমকা কি করে মারা গেলে সে ব্যাপারে আমরা জানতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। এরপর বচসা হয়। মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতকাল এক রোগীর মৃত্যু হয়। তারপরই আচমকা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে অশান্তি করে। এই ঘটনায় শুধু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা নয়, আমিও আতঙ্কে ভুগছি।