উদয়পুর (ত্রিপুরা) : প্রশাসনের পক্ষে একা নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ উদয়পুরের রাজর্ষি হলে 'জাগৃতি-২০২৫' কর্মসূচির উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নেশামুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। নেশার কুফল সম্পর্কে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে। তাছাড়াও ভোক্তা সুরক্ষা বিষয়েও সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খাদ্য ও পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ভোক্তা সুরক্ষা, সড়ক নিরাপত্তা এবং নেশার কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। নেশার বিরুদ্ধে জনজাগরণ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, মানবসম্পদ হলো শ্রেষ্ঠ সম্পদ। অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যুবক-যুবতী সহ সমাজের সকল অংশের মানুষের প্রচেষ্টায় নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, নেশার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য জাগৃতি কর্মসূচিতে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়াও এই ক্যুইজ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভোক্তা সুরক্ষা বিষয়ক আইন সম্পর্কেও যুবা সম্প্রদায় সচেতন হতে পারবে।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নেশার কুফল ও ভোক্তা সুরক্ষা আইন সম্পর্কে সচেতন করতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই জাগৃতি-২০২৫ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক এবং পরিবহণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার মহাবিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে আজ প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় মেগা ক্যুইজ প্রতিযোগিতা।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।