দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ ভবনের মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকাতেও কি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত নয়? শুক্রবার সকালে ফের সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সংসদের দেওয়াল টপকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ঢুকে পড়ল সংসদের ভিতরে। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে পাকড়াও করে নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠছে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে সাড়ে ছ’টা নাগাদ আচমকা সংসদের অন্দরে ঢুকে পড়ে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, সংসদ ভবনের পাশের একটি গাছে উঠে সেখান থেকে দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে ওই যুবক। রেল ভবনের দিক দিয়ে সংসদের ভিতরে প্রবেশ করে সে। যদিও সংসদের ভিতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাকড়াও করা হয়। ঠিক কী উদ্দেশ্যে ওই যুবক সংসদের অন্দরে ঢুকেছিল সেটা স্পষ্ট নয়। আপাতত ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর, অধিবেশন চলাকালীন সংসদের ভিতরে ঘটে যায় ‘স্মোক বম্ব’ হামলার ঘটনা। সেই সময় দুই যুবক সংসদের ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে পড়ে জুতোয় লুকনো স্মোক বোম ফাটায়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সংসদের অন্দরে। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। এই ঘটনার পরে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা 'ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড কমিটি'র পরিবর্তে সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় আধাসেনা বাহিনী সিআইএসএফ-এর হাতে। দিল্লি পুলিশের ১৫০ জন সদস্যকে সরিয়ে মোতায়েন করা হয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিআইএসএফ জওয়ানদের। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, নতুন ব্যবস্থায় “মাছি গলবারও সুযোগ নেই”।
তবে শুক্রবারের ঘটনার পরে আবারও সেই দাবি প্রশ্নের মুখে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় কীভাবে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গাছ বেয়ে, দেওয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করল—তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংসদের মতো ‘গণতন্ত্রের মন্দির’-এর নিরাপত্তা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ায়, এই ঘটনা ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে সর্বস্তরে।