দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ হিমালয় মানেই নিসর্গ আর রহস্য। হিমালয়ের কোলে তেমনি এক মেঘের দেশ 'রামধুরা'। মেঘের দেশে যদি বাসা বাঁধতে চান, মেঘের বাড়িতে যদি থাকতে চান তবে চলে আসুন রমধুরা। শরীর জুড়ে বইবে শান্তির ধারা। খালিং হোমস্টে যেনো সেই মেঘের বাড়ি। এর ব্যালকনিতে বসে থাকলে পাশের মানুষটিকেও অচেনা লাগবে। চেনা লাগবে শুধু আপনার দিকে তাকিয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। এই রূপের ভাগ কাউকে দিতে ইচ্ছা করবে না। এখনকার খাবার ভীষণ লোভনীয়। তবে ঠান্ডার দাপট খুব। পায়ে হেঁটে গ্রামের পথ ধরে হাঁটুন। হারিয়ে যাবেন ঘন কুয়াশার গভীরে। ওখানে একাধিক হোমস্টে আছে। যেকোনো একটা হোমস্টের বারান্দায় বসে কেটে যাবে কয়েকটা দিন। মনে হবে ঠিক যেন স্বর্গের দরজায় বসে আছেন।
বহু নিচে ঘুমিয়ে রয়েছে তিস্তা, নীল পাহাড়ের ঢেউ। চারিদিকে ফুল আর ফুল। অর্কিড ঘরে ঘরে ফুটে থাকে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চাষ হচ্ছে, কপি, আলু, ধান, গাজর, মুলো আরও কত কি! চাষবাস এখানকার মানুষের রোজগার। নীল পাহাড়ের নীরবতা দেখবেন। সারাদিন ধরে রামধুরা রঙের খেলা দেখাবে। রাত্রে পেডং, দার্জিলিং আর কালিম্পং এর আলোর মেলা দেখা যায়। তবে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন মেঘের বাড়ির ঠিকানায়। রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে অবধারিত আপনার মনে পড়ে যাবে "আকাশ ভরা সূর্য-তারা বিশ্বভরা প্রাণ'' গানটি। রমধুরার খুব কাছেই আছে একটা মনোরম জায়গা। সূর্য ডোবার দেশ জলসা বাংলো। ১৯২০ সালে এই বাংলো তৈরি হয়। দার্জিলিং ৭০ কিলোমিটার,কালিম্পং ২৫ কিলোমিটার, গ্যাংটক, ৫৫ কিলোমিটার, আর আছে সামনা সামনি , ইচ্ছেগাওঁ , সেলারিগাঁও, রমধুরা, পেডং। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো তিস্তার ছবি দেখতে চলে আসুন।
যাওয়া - সিলারি গাঁও, ইচ্ছে গাঁও, জলসা বাংলো, খুবই সামনে। পূর্ব সিকিমের গা ঘেঁষে এই আকাশি গ্রাম। মন কাড়া রূপ এই রামধুরা গ্রাম, এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে এই ছোট্ট গ্রামটা যা এককথায় অসামান্য। সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুট উপরে রামধুরার আকাশি গ্রাম। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৮৬ কিমি আর কালিম্পং থেকে ১৪ কিমি দূরে রামধুরা। এখান থেকে কালিম্পং- এর সাইট সিন করা যায়। ডেলো, কাককটাস হাউস, টেগোর হাউস ৬ কিমি এর মধ্যে।
থাকা - অনেক হোমস্টে। আছে। সবগুলোই খুব সুন্দর। সব হোমস্টে সংলগ্ন ফার্ম থেকে তুলে আনা টাটকা সবজি পড়বে আপনার থালায়।