দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃজবা ফুলের সঙ্গে মানুষের একটা ধর্মবোধের সম্পর্ক। বিশেষ করে কালী পুজোর জন্য প্রধানভাবে লাগে জবাফুল। তবে অন্যান্য সমস্ত পুজোতেই লাগে জবাফুল। গরমে সবচেয়ে যে ফুল বেশি ফোটে তার মধ্যে রয়েছে জবা। এছাড়া ঠাকুরকে দেওয়ার জন্য বাড়ির ব্যালকনি, বাগান বা ছাদেও সবচেয়ে বেশি লাগানো হয়ে থাকে জবা গাছ। তবে অনেকেরই অভিযোগ গরমে ঝরে পড়ছে জবা গাছের কুঁড়ি।
নানা কারণে জবা গাছের কুঁড়ি ঝরে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি হয় চোষক পোকার আক্রমণে। এক্ষেত্রে দেখা যায় চোষক পোকা রস চুষে খাওয়ার ফলে বোঁটার থেকে ঝরে পড়ছে কুঁড়ি। অনেক সময় কুঁড়ি কালোও হয়ে যায়। মাকড়ের আক্রমণেও এরকম হয়। এর থেকে বাঁচতে নিমতেল ব্যবহার করুন। ১ লিটার জলে ১০ ফোঁটা নিম তেল মিশিয়ে স্প্রে করে নিন। সপ্তাহে ১ বার করে করলেই হবে। এই গরমে পর্যাপ্ত জলের অভাবেও কিন্তু কুঁড়ি ঝরে যেতে পারে। মাটি দীর্ঘসময় শুকনো থাকলে এমনটা হয়। এক্ষেত্রে সকাল ও বিকালে গাছের মাটিতে জল দিন। সঙ্গে সকাল-বিকেল গাছকে ঝাঁঝরি দিয়ে স্নান করিয়ে দিতেও ভুলবেন না। এতেও কুঁড়ি ঝরে পড়ার সমস্যা অনেকটা কমবে।
এছাড়াও মনে রাখতে হবে,গাছ টবে বসানো মানেই হল তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার দিতে হবে। মাসে অন্তত একবার গাছে সার দিন। বাজার থেকে মিশ্র সার কিনে নিয়ে গাছের মাটিতে একমুঠো দিয়ে খুঁড়ে দিতে পারেন। চাইলে হাঁড় গুড়ো, সিং কুচি, নিম খোল ও সরষের খোল সমপরিমাণে মিশিয়ে সেই মিশ্রণও এক মুঠোর সামান্য কম দিতে পারেন ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির গাছের টবে। এছাড়া বাজরচলতি রাসায়নিক খাবার ১ লিটার জলে ১ চামচ মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করতে পারেন মাসে ২ বার।
জবা গাছ গরমের গাছ। তাই রোদ খুব পছন্দ করে। তাই এটিকে এমন জায়গায় রাখুন যাতে সারাদিন সূর্যের আলো এসে গাছের উপর বসে। কড়া রোদে গাছ ফেলে রাখলেও কোনও সমস্যা নেই, শুধু নিয়ম করে জল দিলেই হবে। খুব কম যত্নেই জবা গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফুল পাওয়া সম্ভব।