দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- পুরান মতে, শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেন মা কালী।
খড়গ হাতে মা কালীর রুদ্র রূপ দেখে কেঁদে উঠেছিল দেবতাদের প্রাণও। মা কালীকে শান্ত করতে
সেই সময় মায়ের পায়ের তলায় শুয়ে পরেছিলেন স্বয়ং শিব। আর মহাদেবের বুকে পা তলার জন্য
জিভ কেটে ফেলেন মা কালী। সেই থেকে এই রূপে পূজিতা হন গোটা ব্রম্ভান্ডে।
তবে এখানে দেখা
যায় উল্টো ছবি। মহাদেব দাঁড়িয়ে আছেন মা কালীর বুকের ওপর। এই মন্দির রয়েছে মধ্যমগ্রামে।
ধ্যমগ্রাম বাদু রোডে বাবা-মাকালের মন্দিরে মহাকালের পায়ের নিচে শুয়ে রয়েছেন কালি।
যেন প্রকৃতি রূপে কালীকে শাসন করছে মহাকাল।
মহাদেব এখানে
চতুর্ভুজ, নীল বর্ণের। তিনি দক্ষিণা কালিকার দেহে পা রেখে দাঁড়িয়ে। অর্থাৎ সাধারণ
কালী মূর্তির একেবারে উল্টো অবস্থান। এই মূর্তি যেন প্রকৃতি আর পুরুষের ভারসাম্যের
প্রতীক।
মন্দিরের পুরোহিতদের
মতে, এ ধরনের ব্যতিক্রমী মহাকালের মূর্তি ভূ-ভারতে আছে মাত্র তিনটি। বেনারস, উজ্জয়িনী
এবং মধ্যমগ্রামে। পূর্ণাঙ্গ মূর্তি শুধু মধ্যমগ্রামে। এলাকার বাসিন্দা নীলাদ্রি ঘোষ
কিন্তু দিচ্ছেন অদ্ভুত ব্যখ্যা। বলছেন, "আসলে এর মধ্যে দিয়ে বলতে চাওয়া হচ্ছে
কাল স্থির নয়। যেটা একদিন নিচে আছে, সেটা উপরে হবে। আর যেটা উপরে আছে সেটা একদিন নিচে
যাবে।"