Life Style News

1 month ago

Applying Toner or Astringent in face : ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট না টোনার কী লাগাবেন? কার কিরকম ত্বকের জন্য ভালো কি?

skincare tips for face
skincare tips for face

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বছর কয়েক আগেও অব্দি রূপচর্চার জগতে টোনার কিংবা অ্যাস্ট্রিনজেন্টের উপস্থিতিই ছিল না। সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম মেখে নিলে কাজ হয়ে যেত। তারপর দেখা গেল, ত্বকের একদম গভীরের স্তর থেকে তেল,ধুলো-ময়লা টেনে আনাতে শুধু সাবান যথেষ্ট নয়, তার জন্য আলাদা করে টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্টও লাগানো দরকার! বহুজন মনে করেন, টোনার কিংবা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট একে অপরের সঙ্গী তবে আদতে তা নয়। কাজ এক হলেও দুটির উপাদান একদম আলাদা। নানা ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করা যায় না। স্পর্শকাতর ত্বকে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট মাখলে ত্বক জ্বালা করে আর অসোয়াস্তি হয়। তাই কোনটি কার জন্য ঠিক সেটা বোঝার আগে জেনে নেওয়া দরকার যে এই দুটি প্রসাধনীর কাজ আদতে কি এবং ত্বকের কোন সমস্যায় কোনটি ব্যবহার করা যায়? 

সাবান কিংবা ফেসওয়াশ ছাড়া যে মুখে জমে থাকা তেল,ধুলোময়লা পরিষ্কারের বিভিন্ন রকম প্রসাধনী আছে আর তার মধ্যে একটি হল টোনার তবে এ জিনিস ফেসওয়াশের একদম বিকল্প নয়। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ত্বকের বেশ সময়ে টান ধরে। টোনার মাখলে সেই সমস্যা অনেকটা বশে রাখা যায়। এ ছাড়া ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও এ রূপচর্চার জিনিসটা সবচেয়ে বেশি কাজের! ‘জার্নাল অফ কসমেটিক্স সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা আছে যে যদি নিয়ম করে মুখে টোনার মাখআ হয় তখন ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে আর ত্বকও অত সহজে রুক্ষ হয়ে যায় না। আবার,যাঁদের ওপেন পোরসের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরকেও টোনার মাখতে বলা হয়। ত্বকে কোনও রকম অস্বস্তি হলে তা সারিয়ে তোলে! টোনার ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে আর যদি ধরন না বুঝে কেউ ভুল টোনার ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত কাজ হওয়াটার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

টোনারের চেয়ে বড্ড বেশি শক্তিশালী হলো অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। যাঁদের ত্বক বেশি তেলতেলে, তাঁরা এ রূপচর্চার বস্তুটা ব্যবহার করতে পারেন ভালো মতো তবে এটার মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণটা একটু হলেও বেশি থাকে। তাই স্পর্শকাতর ত্বকে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করলে কিছু সময়ে বিভিন্ন রকমের অসোয়াস্তি দেখা যায়! ওপেন পোরসের সমস্যায় টোনারের চেয়ে অনেক গুণ বেশি ভালো কাজ করে এ অ্যাস্ট্রিনজেন্ট,তাছাড়া ত্বকের সেবায় উৎপাদনের হার নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা পিএইচের সাদৃশ্য রাখতেও সাহায্য করে!

যারা রূপচর্চার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাঁরা বলেছেন,"কাজ প্রায় এক রকম হলেও টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্টের মূল উপাদান কিন্তু আলাদা। এ ছাড়া টোনার সব ধরনের ত্বকে মাখা গেলেও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট কিন্তু সকলে ব্যবহার করতে পারেন না।"  আর ত্বকবিশারদ ডাক্তার বলেছেন যে কে টোনার মাখবেন আর কে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট মাখবেন তা নির্ভর করে ত্বকের ধরন এবং বিভিন্ন সমস্যার উপর। যাঁদের ত্বক ‘নর্মাল টু ড্রাই’অর্থাৎ তেলতেলে নয়, তাঁরা একদম অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন আর যাঁদের মুখে র‌্যাশ,ব্রণ নামের সমস্যা আছে তাঁদের ত্বকের জন্য সাহায্যকারী হলো অ্যাস্ট্রিনজেন্ট।   

You might also like!