দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পায়ের যন্ত্রণা আজকাল অনেকের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বয়স ত্রিশ পেরোলেই হাঁটু, কোমর বা পায়ের ব্যথা যেন এক সাধারণ সমস্যা। কেউ ওঠাবসা করতে গিয়ে কষ্ট পান, আবার কেউ একবার বসলে সহজে উঠতেই পারেন না। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেই পা ফুলে যায়। শুধুমাত্র গরম সেঁক বা ওষুধ খেয়ে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও, স্থায়ী সমাধান মেলে না। এই পরিস্থিতিতে যোগাসন হতে পারে কার্যকর বিকল্প। বিশেষ কিছু যোগপদ্ধতি নিয়ম করে অভ্যাস করলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই মিলতে পারে ব্যথার থেকে স্বস্তি।
উপবিষ্ট সারস আসন হল যোগের এমন এক পদ্ধতি, যাতে শরীরের নিম্নাংশের ব্যায়াম হয়। বসে করতে হয় এই আসন। ভঙ্গিমা অনেকটা সারস পাখির মতো দেখায়, তাই এর এমন নামকরণ। একে ক্রৌঞ্চাসনও বলা হয়।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর পা দু’টি সোজা করে বসুন।
২) এর পর ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন এবং ডান গোড়ালি বাম ঊরুর উপর রাখুন।
৩) বাঁ পা ভাঁজ করে ডান পায়ের পাশে রাখুন।
৪)শ্বাস নিতে নিতে শরীরের উপরের অংশ সামনে ঝোঁকান এবং দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরুন।
৫) কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৬) ওই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে পা বদল করুন।
লাভ কী হবে?
মেরুদণ্ডের জোর বাড়বে।
নিতম্বের অসাড়তা কাটবে। একটানা বসে থেকে পা-কোমর ও নিতম্বে অসাড়তা এলে এই আসন অভ্যাস করা ভাল।
তলপেটের মেদ কমবে।
শরীরের নমনীয়তা বাড়বে।
ফুসফুসের জোর বাড়বে।
রজোনিবৃত্তির পরে আসনটি অভ্যাস করলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ডে আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন করা উচিত নয়।
উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ থাকলে, এই আসন প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করা যাবে না।