দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের পৈত্রিক জমিতে উৎপাদিত বোরো ধান বিক্রি করলেন। ধান বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের কাছে তিনি ৮০ মণ ধান বিক্রি করেছেন।
খাদ্য গুদামের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়। এখানে তাঁর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদনের নামই দেওয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ ভোটার কার্ডের জন্য সেই সময় স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার এই বাড়ির ঠিকানাই দিয়েছিলেন তিনি।
এবার দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খাধ্য গুদামের কাছে ধান বিক্রি করলেন। গত বছর বোরো মৌসুমে প্রথমবারের মতো ধান বিক্রি করেছিলেন হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের কাছে তিনি নিজের নামে মোট তিন মেট্রিক টন অর্থাৎ ৩০০০ কেজি ধান সরকার নির্ধারিত ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এছাড়া ওই জমিতে উৎপাদিত আরও চার মেট্রিক টন ধান দুই প্রতিবেসীর নামে খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়েছে। ওই মোট সাত মেট্রিক টন ধান মোট দুই লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন যে, লটারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। এছাড়া একই পদ্ধতিতে প্রতিবেশী মোহম্মদ নওশের আলীর নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমির তিন মেট্রিক টন ও মোহম্মদ ইস্রাফিলের নামে এক মেট্রিক টন ধান খাদ্য গুদামে দেওয়া হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনেক বছর পতিত পড়ে থাকা পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গত মৌসম থেকে সমবায় ভিত্তিতে বোরো আবাদ শুরু হয়। গত মৌসমে প্রধানমন্ত্রী পৈত্রিক ১৪ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মণ ধান পেয়েছিলেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এবার দ্বিতীয় বারের মতো ওই জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছিল। সেখান থেকেই ১৭৫ মণ অর্থাৎ সাত মেট্রিক টন ধান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ধান বিক্রির বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী তিন টন ধান সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছেন। সেই ধান বিক্রি থেকে প্রাপ্ত ৯৬ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংকে অনলাইনে হস্তান্তর করা হয়েছে।’