দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মুড়ি-বিস্কুট দুইই হল কার্ব জাতীয় খাবার। মুড়ি এবং বিস্কুট এই দুই খাবারই আমাদের অত্যন্ত প্রিয়। আর সেই কারণেই প্রায় প্রতিটি বাঙালি পরিবারেই মজুত থাকে এই দুই খাবার। আর জেনে রাখা ভালো যে, এই দুই খাবারই হল কার্বের খনি। তাই খিদে পেলে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করার পর ক্লান্ত লাগলে এই দুই খাবারই খেতে পারেন। তাতে শরীরে এনার্জির জোয়ার খেলে যাবে। এমনকী ভরে যাবে পেট।
মুড়ি না বিস্কুট? কোনটি বেশি উপকারী?
মুড়ি হল ধান থেকে তৈরি হওয়া একটি খাবার। তাই এই খাবার খুব সহজেই হজম হয়। এমনকী এই খাবার খেয়ে কোনওরকম বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে না বললেই চলে। উল্টো দিকে বেশিরভাগ বিস্কুটেই ময়দার পরিমাণ থাকে বেশি। এমনকী এই খাবারে অত্যধিক পরিমাণে চিনি এবং ফ্যাটও মেশানো হয়। আর সেই কারণেই বিস্কুট খেলে পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে সুগার, কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে বৈকি। তাই এবার থেকে বিস্কুট খাওয়ার আগে সাবধান হন।
বালিতে ভাজা মুড়ি খান
আজকালকার প্যাকেটবন্দি বেশিরভাগ মুড়িতে বেশ কিছুটা পরিমাণে ইউরিয়া মেশানো থাকে। আর এই উপাদান কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই ভুলেও প্যাকেটজাত মুড়ি খাবেন না। বরং খেতে হলে বালিতে ভাজা মুড়ি খান। এই কাজটা করলেই উপকার পাবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকে আবার মুড়িতে চপ-চানাচুর মেখে আয়েস করে খান। আর সেই কারণেই একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে মুড়ির সঙ্গে চানাচুর-চপ খাওয়ার বদভ্যাস শুধরে নিন। এই কাজটা করলেই কিন্তু উপকার পাবেন।
বাড়িতে তৈরি কুকিজ খেতে পারেন
বাজারচলতি বিভিন্ন বিস্কুটের উপর ভরসা করে লাভ নেই। বরং স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে ওটস বা আটার সাহায্যে বাড়িতেই কুকিজ তৈরি করে নিন। তারপর ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এইসব বিস্কুট খেয়ে নিতে হবে। তাতে স্বাস্থ্যের উপকার না হোক, অন্তত বড়-সড় ক্ষতি হবে না। তবে ভুলেও কিন্তু নোনতা বা মিষ্টি বিস্কুট খাবেন না। এই ভুলটা করলে ছোট-বড় রোগের খপ্পরেই পড়বেন।
ছোলা, ঘুঘুনির জবাব নেই
খিদের সময় মুড়ি, বিস্কুট না খেয়ে আপনারা অঙ্কুরিত ছোলার শরণাপন্ন হতেই পারেন। এমনকী এই সময় নামমাত্র তেল-মশলা সমৃদ্ধ ঘুঘনি খেলেও দীর্ঘক্ষণ ভরে থাকবে পেট। সেই সঙ্গে শরীরে প্রোটিন সহ একাধিক ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতিও দূর হয়ে যাবে। তাই মাঝে মধ্যে এইসব খাবারকেও পাতে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!