Health

11 months ago

Healthy Diet For Kids: বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ওর খাদ্য তালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি

Healthy Food Habit for Baby (Symbolic Picture)
Healthy Food Habit for Baby (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শিশুদের খাবারে যে জিনিসটা সবচেয়ে থাকা জরুরি, সেটি হল পুষ্টিকর উপাদান। অনেক বাচ্চাই এমন রয়েছে যারা সব খাবার খেতে চায় না। তবে বাচ্চার বাড়ার সময়ে সঠিক পুষ্টি না পেলে ওর বিকাশে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। তবে বাচ্চাদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো সত্যি এক কষ্টকর কাজ। পুষ্টিকর খাবার তাদের ঠিক জুতসই না হলে শিশুরা খেতে চায় না। তবে মায়েরা শিশুর বৃদ্ধিকালে নির্দিষ্ট কিছু খাবার দিয়ে ওর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারেন।

১) শিশুর খাবারে রাখতে পারেন তিসির বীজ

তিসি মস্তিস্কের বিকাশে সহায়তা করতে সক্ষম। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই বীজকে গোটা অথবা গুঁড়ো অবস্থায় শিশুর খাবারে দিতে পারেন। তবে গুঁড়ো করে দিলেই ভালো, যা সহজে শিশুর শরীর শোষণ করতে সক্ষম। মাফিন, ব্রেড, প্যানকেকে তিসির গুঁড়ো ছিটিযে বাচ্চাদের পরিবেশন করতে পারেন।

২) শিশুর খাবারে রাখতে পারেন টোফু

অধিকাংশ বাচ্চাই এটি পচন্দ করবে না। তবে বাচ্চার বৃদ্ধি ও হাড় মজবুত করতে অন্যতম সক্ষম খাবারের উপাদান হল টোফু। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালশিয়াম যা শিশুর বৃদ্ধিতে সর্বোপরি সহায়ক।

৩) খাবারে রাখতে পারেন লাল আলু

মিষ্টি খেতে কোন বাচ্চা পছন্দ করে না! আর মিষ্টি স্বাদের লাল আলুতে মন ভরতে পারে আপনার শিশুর। কিন্তু বড় হওয়ার সময়ই কোনো কোনো শিশু খাবারে গাফিলতি করতে পারে। তাই তার পুষ্টিতে সহায়ক হতে পারে লাল আলু। লাল আলু বেক করে ভেনিলা, দই অথবা দালচিনি ও চিনির টপিং দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

৪) শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন দই

দইতে প্রচুর মাত্রায় প্রোবায়োটিকস রয়েছে, যা ভালো ব্যাকটেরিয়া হিসেবে চিহ্নিত। বাচ্চাদেরকে কম ফ্যাটযুক্ত দই খাওয়ান। এক্ষেত্রে এক চামচ মধু কিংবা টাটকা ফলের সাথে দই খাওয়াতে পারেন। দুধের চেয়ে দইতে রয়েছে অতি মাত্রায় ক্যালশিয়াম।

৫) শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন স্যালমন

বাচ্চাদের বিকাশের জন্য উচ্চ গুণসম্পন্ন প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। স্যালমনে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মস্তিষ্কের বিকাশ ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য ওমেগা ৩ অপরিহার্য। বেক বা গ্রিল করে স্যালমন খাওয়া যায়।

৬)  শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন অ্যাভোকাডো

এতে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে্ অত্যন্ত উপযোগী। পাকা অ্যাভোকাডো বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। আবার এর শেক বানিয়েও দেওয়া যেতে পারে।

৭)  শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আম

সকল বাচ্চারই প্রিয় ফল আম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকে। যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করতে সহায়ক। এতে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান বাচ্চাদের মাড়ি ও দাঁত মজবুত রাখতে পারে।

৮)  শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ডিম

প্রোটিন ও ডিএইচএ-র উল্লেখযোগ্য উৎস হল ডিম। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক এটি।

You might also like!