দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অনেকেই ওজন কমাতে চিনির বদলে গুড় খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই গুড় কী আদোয় তেমন কোনো ফারাক তৈরী করে? না কী নিজের অজান্তেই বড় বিপদ ডেকে আনছেন আপনি? জেনে নিন-
পুষ্টিবিদদের মতে চিনিতে কোনও প্রকারের পুষ্টি উপাদান নেই। বরং এতে শুধু কাড়ি কাড়ি ক্যালোরিই রয়েছে। তাই চিনিকে ‘এম্পটি ক্যালোরিজ’ বলে ডাকা হয়। আর এই কারণেই চিনি খেলে হুট করে বাড়তে পারে সুগার। এমনকী ওজন বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিনি থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন।
তবে ওজন কমাতে চাইলে চিনি এবং গুড় কোনওটাই খাওয়া চলবে না। কারণ ১০০ গ্রাম চিনি এবং গুড়, এই দুটিতেই রয়েছে প্রায় ৩৭০ থেকে ৩৮০ ক্যালোরি। আর এই পরিমাণ ক্যালোরি ওজন বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকলে যেন তেন প্রকারেণ চিনি এবং গুড়, দুটোর থেকেই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
অনেকেই মনে করেন যে ডায়াবিটিসে চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া বোধহয় উপকারী। তবে বিষয়টা একবারেই তেমন নয়। কারণ চিনির মতো গুড়েরও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা চিনি এবং গুড়, দুটোর থেকে তফাত যান। তার বদলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আর্টিফিশিয়াল সুইটনার খেতেই পারেন। তাতেই উপকার মিলবে।
তবে গুড়ে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত গুড় খেলে দেহে খনিজের ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, পেটের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজেও অত্যন্ত উপকারী গুড়। এর পাশাপাশি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলেও রোজের পাতে গুড় রাখতে পারেন। তাতেই উপকার মিলবে সবথেকে বেশি।