দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। কিডনি আমাদের শরীরে ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন কিডনির মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে প্রস্রাব হিসেবে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর তাই কিডনি যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে। জল খেলে তবেই কিডনি ঠিকমত পরিস্রুত করতে পারে। এবার জল কেমন তাপমাত্রায় খাওয়া উচিত সেই নিয়ে অনেকেই নানা প্রশ্ন করেন। চিকিৎসকেরা প্রায়শই পরামর্শ দেন যে ঠান্ডা বা গরম কোনও জলই কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়। গরম লাগছে বলে অনেকেই ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা জল বের করে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলেন। এতেও শরীরের উপর অনেক প্রভাব পড়ে। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা খুব গরম জল না। এতেও কিন্তু অন্ত্রের ক্ষতি হয়।
ইরানের চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করেন। আর সেই গবেষণায় উঠে এসেছিল সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা জল শরীরের জন্য সবচাইতে ভাল। আর সেই সাধারণ তাপমাত্রা হল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার জল খেলে তা শরীরের জন্য ভাল এবং কিডনির কাজ করতেও কোনও রকম সমস্যা হয় না।
তবে খেয়াল রাখতে হবে যে কোনও ভাবেই যেন ডিহাইড্রেশন না হয়। গরম কালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। আর শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকে তাহলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন ঠিকভাবে বেরোতে পারে না। শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করলে কিডনির উপর চাপ তো পড়েই পাশাপাশি কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনাও কিন্তু বাড়ে। আর জল দিনের পর দিন পরিমাণের তুলনায় কম খেলে কিডনি ফেলিওয়ের সম্ভাবনা থেকে যায়।
আর্য়ুবেদ মতে বলা হয় ইষদুষ্ণ জল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোজ সকালে খালিপেটে একগ্লাস করে এই ইষদুষ্ণ জল খেলে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে আসবে। আর কিডনিও ঠিকমত কাজ করবে।
একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। এর থেকে কম জল খেলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে এই জল খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে লিঙ্গ, বয়স এবং পরিবেশের উপর। শরীরের প্রয়োজনেই অনেককে জল কম খেতে হয়। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত জল খাবেন না। সেক্ষেত্রে তিন লিটার জল খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসক যেমন বলবেন সেই ভাবে মেপে জল খেতে হবে।