দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা, উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে বাংলার মানুষ। বর্তমান সময় মহালয়ার দিন থেকেই কম বেশী পুজো দেখা শুরু হয়ে যায়। সারা বছর ডায়েট মেনে চলা ব্যক্তি ও পুজোর কটা দিন নিয়ম না মানাটাকেই নিয়ম বলে মনে করেন। উৎসবের এই দিন গুলি প্রতিট মানুষই পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে উপভোগ করতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা যে অনিয়ম হবে সে কথা বলাই বাহুল্য। পুজোর কটা দিন ভোজন রসিকরা তো বটেই অতি স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরাও মিষ্টি, স্ন্যাকস , জ্যাঙ্ক ফুড, বিরিয়ানি, ফ্রাইড ফুড, রোল , চাউমিন খেয়েই থাকেন। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি থেকে পেটে না না রোগ হবার একটা ঝুঁকি তৈরী হয়, এই সময়ে নিজেকে ফিট রাখতে চাইলে পুজোতে মেনে চলুন এই সহজ টিপস গুলি-
১/ ব্রেকফাস্টের সময়ে করুন
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া খুব খারাপ। তাই সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট সেরে নিন। প্রোটিন এবং ফাইবার সমন্বিত একটি খাবার খান সকালে। এগুলি রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করবে।
২/ বাস্তববাদী হওয়ার সময়
উৎসবের সময় ওজন কমানোর সময় নয়, যখন কেউ আপনাকে প্রতিদিন মিষ্টি, সুস্বাদু খাবার আপনাকে দেওয়া হবে তখন খেতে তো হবে। তবে ওজনের দিকে বিশেষ নজর দেবেন না।
৩/ সঠিক সময়ে ব্যায়াম করুন:
ব্যায়ামের উপকারিতা আমাদের সবারই জানা। রুটিন করে ব্যায়াম করুন। যদি আপনার প্রয়োজন হয় তবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন। চাপ কমাতে এবং নিজেকে ভাল বোধ করতে। ব্যায়াম দৈনিক খাওয়া এবং ক্যালোরি বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪/ কখনই খাবার এড়িয়ে যাবেন না:
বাইরে খেয়ে ফেলার জন্য রাতের বা সকালের খাবারটা খেলেন না, এই ভুল করবেন না। মনে রাখবেন প্রতিদিনের খাবার, রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল রাখবে। এতে আপনার বাইরেও অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম হবে।
৫/ চিনিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন:
প্রচুর চিনিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। চিনিযুক্ত খাবারের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনিজাতীয় খাবার বুঝেশুনে খান।
৬/ অ্যালকোহল পানের ক্ষেত্রে নজর দিন:
অ্যালকোহল সেবন পুজোর সময় বেড়ে যায়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অ্যালকোহল গ্রহণ করলে খুব বুঝেশুনে। চেষ্টা করবেন কম-ক্যালোরি বিয়ার এবং ওয়াইন বেছে নিতে।