
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের ঠান্ডা হাওয়া অনুভূত হচ্ছে। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। মাঝে মাঝে মিষ্টি রোদও দেখা যাচ্ছে। পুরো পরিবেশটাই ছুটির অনুভূতিতে ভরে উঠেছে। নানা ধরনের কেক-পেস্ট্রির ঘ্রাণে ম ম করছে চারপাশ। সোয়েটার-টুপি পরে সকলেই এই আহ্লাদে অংশ নিচ্ছেন। আজ বড়দিন উপলক্ষে। বুধবার সকাল থেকে এই উৎসবের শহরে ছোট থেকে বড়—সকলেরই ব্যাপক ভিড়। 'জিঙ্গল বেলস'-এর ছন্দে কেউ কেউ আবার সুর মেলাচ্ছেন। ক্রিসমাসের আনন্দে উচ্ছ্বসিত মহানগর। এবারের বড়দিনের কলকাতায় বেশ কিছু আকর্ষণ রয়েছে, যেগুলি অনেকের কাছেই অজানা। তাহলে, ক্রিসমাসের কলকাতার সেই অদেখা দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বড়দিন মানেই পার্ক স্ট্রিট
কলকাতায় বড় দিন মানেই একবার পার্ক স্ট্রিটে ঢুঁ মারতেই হবে। রেস্তরাঁগুলোতে তিলধারণের জায়গা নেই। রকমারি আলো দিয়ে সাজানো পার্ক স্ট্রিটের বড়দিনের শোভা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় পা রাখলেই মনে হবে যেন এক অনাবিল আনন্দ অপেক্ষা করে রয়েছে। সকলেই পার্টির মুডে। আর সন্ধ্যা নামলে পার্ক স্ট্রিটের সৌন্দর্য বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। আলো ঝলমলে পার্ক স্ট্রিটে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়ে বোঝা যায়, এ হল ক্রিসমাস উৎসব। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা সরকারের উদ্যোগে কলকাতায় প্রতিবছর এই সময় পালিত হয় ক্রিসমাস উৎসব। ক'দিন আগেই যার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্ক স্ট্রিটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে এদিন। পার্ক স্ট্রিট থেকে হাঁটা পথে অ্যালেন পার্ক। কারণ অ্যালেন পার্কই হল ক্রিসমাস উৎসবের মূল আস্তানা।
চলো যাই বো ব্যারাকসে
বড়দিনের আমেজ নিতে কলকাতার বো ব্যারাকসে না গেলেই নয়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পাড়ায় বড়দিনের স্বাদ পুরোদমে উপভোগ করা যায়। রকমারি খাবারের দোকান, আলোর রোশনাইয়ে একেবারে ভোল বদলে যায় বো ব্যারাকসের।
বড়দিন মানেই ঘোরাঘুরি
কলকাতায় বড়দিন মানেই পিকনিক কিংবা এদিক-ওদিক টইটই করে ঘোরা। সে চিড়িয়াখান হোক, কিংবা নিক্কো পার্ক বা হাল হামলের ইকো পার্ক, সবেতেই জনজোয়ার। আবার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালেও ভিড় লেগে থাকে।
জেলাতেও এলাহি বড়দিন
শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও সাড়ম্বরে পালিত হয় বড়দিন। হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর থেকে শুরু করে বর্ধমান, দার্জিলিং, কালিম্পঙ, সর্বত্রই ক্রিসমাসের আনন্দ। কোথাও আবার দল বেঁধে চড়ুইভাতি।
মমতার ক্রিসমাস গান
মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরে এবার ক্রিসমাসের গানও প্রকাশ্যে এসেছে। গানটির নাম বিশ্বপিতা। গানটি গেয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘরে ঘরে যিশু পুজো
অনেক বাঙালিও এদিন যিশুপুজোয় মাতেন। ঘরে যিশুখ্রিস্টের ছবি বা মূর্তির সামনে ফুল দিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে ২৫ ডিসেম্বর উদযাপন করেন।
