দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২১ সালে ইউনেস্কোর আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ) তালিকায় দুর্গাপুজো স্থান পাওয়ার পর থেকেই বিদেশি প্রতিনিধিরা কলকাতায় পুজোর আবহ প্রত্যক্ষ করতে আসবেন বলে জানা গিয়েছিল। সেই মতো আজ থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন তাঁরা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাতভর চলবে এই মণ্ডপ-সফর। ইউনেস্কোর তরফে এই বিশেষ প্রাক্-প্রদর্শনীর খুঁটিনাটি প্রকাশ করে দুর্গাপুজো তথা বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প উৎসবকে বিশ্বের সামনে মেলে ধরার একটি জুতসই পরিসর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘মাস আর্ট’ বলে একটি মঞ্চের ওয়েবসাইটে প্রাক্-প্রদর্শনীটি দেখার খবরাখবর মিলবে। দুর্গাপুজোর প্রাক্-প্রদর্শনীর জন্য ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দু’টি সাবেক পুজো এবং দু’টি বনেদি পুজো-বাড়িকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কলকাতার সেরা শিল্পীদের পুজো, নামী ও জনপ্রিয় থিম পুজো, জনপ্রিয় সাবেক পুজো এবং বনেদি বাড়ির পুজো— এই ক’টি ভাগে ভাগ করে নিয়ে পুজোগুলি বাছা হয়েছে বলে খবর।
‘মাস আর্ট’-এর তরফে শৈবাল দত্ত বললেন, ‘‘জার্মানি, বেলজিয়াম, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, মঙ্গোলিয়া, সাইপ্রাস, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি এবং নেপালের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অনেকেই এসে গিয়েছেন। জার্মানির নদী আর কলকাতার গঙ্গা নিয়ে ‘জল কথা বলে’ শিরোনামে একটি বিশেষ শব্দ প্রদর্শনীও রয়েছে। রাষ্ট্রদূতেরা ছাড়াও আমেরিকার একটি কলেজের প্রতিনিধিরা আসছেন, থাকছে ইন্টারন্যাশনাল ডেলফিক কাউন্সিলের ৭০ জনের এক প্রতিনিধিদল। প্রথমে টাউন হলে উদ্বোধনের পরে দুর্গাপুজো প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে। সেখান থেকে মনোনীত পুজো কমিটিগুলিতে প্রতিনিধিদের যাওয়ার কথা।’’
কিন্তু এই প্রদর্শনী ঘিরে শহরে উৎসবের বোধন হয়ে গেলেও সব গুছিয়ে উঠতে কার্যত নাজেহাল মনোনীত পুজো কমিটি গুলি।বৃষ্টির জন্য মন্ডপের কাজ শেষ করা যায় নি। শুরু করা যায়নি আলোর কাজ ও। ডেডলাইন মিস করেছে সুরুচি সঙ্ঘের মতো পুজো ও। যতটা হয়েছে, সেটাই অতিথিদের দেখানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ব্যতিক্রম গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব এই পুজোর প্রায় পুজো ৯৮ শতাংশই তৈরি।অন্যদিকে টালা প্রত্যয় ও প্রস্তুত প্রাক্-প্রদর্শনীর জন্য।