দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : যেকোনও বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরতে কখনও পিছপা হন না রিচা চাড্ডা। বিশেষ করে লিঙ্গ-সাম্যের প্রসঙ্গে বরাবরই তিনি স্পষ্টবাদী। ফেমিনিস্ট পরিচয় নিয়েও গর্বিত অভিনেত্রী। এবার একান্ত কথোপকথনে তিনি জানালেন, কীভাবে ছোটবেলা থেকেই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ছায়ায় বড় হতে হয়েছে তাঁকে।
রিচা বলেন, তাঁর শৈশবে বারবার বোঝানো হয়েছিল, একজন নারীর জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য হল বিয়ে করা আর সংসার সামলানো। যদি সেই পথে না হাঁটেন, তবে তিনি ব্যর্থ — এই ধারণা যেন রক্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাঁর দিদিমাও ছোটবেলায় সেই মানসিকতা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, অজান্তেই হয়তো।
শিশুরা দৌড়য়, লাফায়। কিন্তু শিশুকন্যা বলে তাঁর সামনে গণ্ডি টানার চেষ্টা করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি তখন শিশু। বিছানার উপর লাফাচ্ছিলাম। আমাদের বাড়িতে তখন দিদিমা এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি যদি এই ভাবে লাফাও, কেউ তোমাকে বিয়ে করবে না। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কিন্তু এই সব করতে পারবে না।’”
এমন নিদান শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন রিচা। তিনি বলেছেন, “আমি তখন বুঝতেও পারিনি, তিনি ঠিক কী বলতে চাইছেন। তখন আমার বয়স সাত বা আট হবে। আমি ভেবেছিলাম, উনি কি পাগল?”
রিচা জানিয়েছেন, পরে তাঁর মা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, কেন দিদিমা এই কথাগুলি বলেছিলেন, কোথা থেকে এই ধরনের মন্তব্য এসেছিল। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এই ধরনের মন্তব্য করেন বলে দাবি করেছিলেন রিচার দিদিমা।
অভিনেত্রী সেই ঘটনা স্মরণ করে বলেছেন, “আসলে আমার দিদিমার জন্ম ১৯২০ সালে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেখান থেকেই তাঁর মনে এই ধারণা তৈরি হয়েছে।”