দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কঙ্গনার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ালেন হৃতিক রোশন ৷ কয়েক মাস আগেই কঙ্গনা রানাউত এবং হৃতিক রোশনের প্রেম ও প্রেম-পরবর্তী তিক্ততা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল মিডিয়া। এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, দু'জনেই দু'জনের চোখে এতই অসহ্য, যে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেও বাধেনি তাঁদের। বলতে গেলে, একে অন্যের ছায়াও মাড়ান না তাঁরা।
কিন্তু সম্প্রতি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনা রানাউতের চড় খাওয়ার ঘটনার পরে সেই হৃতিকের প্রতিক্রিয়া যেন একটু অন্যরকম। সোশ্যাল মিডিয়া মনে করছে, তাহলে কি প্রাক্তন প্রেমিকার পাশে দাঁড়ালেন হৃতিক? না, হৃতিক সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি এই নিয়ে। কিছু লেখেনওনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কঙ্গনাকে চড় মারার বিরোধিতা করে লেখা, সাংবাদিক ফায়ে ডি’সুজার একটি পোস্টে লাইক করেছেন হৃতিক। অর্থাৎ, তিনি অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দর কৌরের চড় মারাকে সমর্থন করছেন না।
হৃতিক ও কঙ্গনা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন কাইট, কৃশ ৩ ইত্যাদি সিনেমায়। তার পরই কঙ্গনা হৃতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, বিবাহিত অবস্থাতেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন হৃতিক। এই নিয়ে পরে বিস্তর জলঘোলা হয়। তবে সে সব এখন অতীত। এখন সাবার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন হৃতিক। অন্যদিকে, কঙ্গনা অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়েছেন। জিতেছেন লোকসভা ভোটে। সেই জয়ের পরেই নবনির্বাচিত সাংসদ হিসেবে দিল্লি যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। সেই সময়েই ঘটে এই ঘটনা, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় দেশজুড়ে।
কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতার কারণে অভিনেত্রীর উপর ক্ষোভ ছিল পাঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা, কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরের। শোনা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে কঙ্গনা দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে নাকি তিনি সিআইএসএফের ওই মহিলা জওয়ানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিনেত্রীকে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন কনস্টেবল। রাগের বশে সপাটে চড় মারেন সাংসদকে। কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরকে এই অভিযোগের পরে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা সিআইএসএফ-ও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এর পরেই সারা দেশে ঝড় বয়ে গেছে। দেশবাসীর একাংশের বক্তব্য, কর্তব্যরত অবস্থায় এই কাজ করে মোটেও ঠিক করেননি ওই কনস্টেবল। আবার অন্যপক্ষ বলছেন, কাজটা ঠিক না হলেও, ওই কৃষককন্যার আবেগের দাম দেওয়া উচিত।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, ঘটনার প্রতিবাদ করেন সাংবাদিক ফায়ে ডি’সুজা। তিনি লেখেন, কোনও কিছুর জবাবই হিংসা হতে পারে না। বিশেষ করে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির দেশে এমন শোভা পায় না। কারও কোনও কথা বা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যতই আপত্তি থাক না কেন, হিংসা কখনওই তার প্রতিবাদ নয়। আর এমন হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়াও উচিত নয়, তা আরও মারাত্মক। কারণ নিরাপত্তারক্ষী উর্দি পরে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন।
হৃতিক ফায়ের এই পোস্টেই লাইক দিয়েছেন। এই পোস্টে লাইক দিয়েছেন আলিয়া ভাটও। প্রসঙ্গত, এই আলিয়াকেই কঙ্গনা ‘বলিউড মাফিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছেন বারবার। এছাড়াও ফায়ের পোস্টে লাইক দিয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা, জোয়া আখতার, সোনি রাজদান। আবার অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলা জওয়ান কুলবিন্দরের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুরকার বিশাল দাদলানি। তিনি সাসপেন্ড হওয়া ওই জওয়ানকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।