নয়াদিল্লি : ‘ঘুষের বিনিময়ে চাকরি’ কেলেঙ্কারি মামলায় ১৬ জন কর্মীকে বরখাস্ত করল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস। সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ফাংশন থেকে আরও তিন কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে, এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি টিসিএস-এর সিইও এবং সিওও-কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্থায় ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার চক্র চলছে। সেই প্রথম টিসিএস-এর এই কেলেঙ্কারির কথা জানা গিয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, টিসিএস-এ কর্মরত সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা, বিভিন্ন স্টাফিং ফার্মের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে, ওই ফার্মের প্রার্থীদের সংস্থায় চাকরি দিচ্ছে। এই অভিযোগের পরই, টিসিএস একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্তের শেষে মোট ১৬ জন কর্মচারীকে সংস্থার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ফাংশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও তিন কর্মীকে। বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে আছেন, টিসিএস-এর রিসোর্স ম্যানেজমন্ট গ্রুপের প্রাক্তন প্রধানও। শুধু তাই নয়, তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিল ছয়টি স্টাফিং ফার্ম। টিসিএস এবং টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন যে কোনও সংস্থার সঙ্গে এই স্টাফিং ফার্মগুলির যে কোনও রকম ব্যবসায়িক সম্পর্কও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে আরও বলা হয়েছে, প্রশাসনিক ব্যবস্থাগুলিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে টিসিএস। এর জন্য, প্রধান ভূমিকায় থাকা কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ফাংশনে ব্যবহার করা, কর্মী সরবরাহকারী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, টাটার কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলার বিষয়ে বিক্রেতাদের বারবার সতর্ক করার মতো পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগেই অবশ্য, টিসিএস-এর ত্রৈমাসিক ফলাফল ঘোষণা করার সময়, সংস্থার সিইও কে কৃত্তিবাসন জানিয়েছিলেন, যথাযথ তদন্তের শেষে এই কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে টিসিএস। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের তদন্ত শেষ হয়েছে। আমাদের মতে, যারা আমাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কে, কী ধরনের আচরণবিধি ভেঙেছেন, তার উপর নির্ভর করে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”