
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুস্রাবের সময় পেট ও তলপেটের যন্ত্রণা অনেকের কাছেই চেনা সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় এই ব্যথাকে বলা হয় ডিসমেনোরিয়া, যা প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে অন্তত এক জনের জীবনে নিয়মিত দুর্ভোগের কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ভারী রক্তস্রাব, কোমরব্যথা, তলপেটে টানধরার মতো যন্ত্রণা অনেক সময় এতটাই বেড়ে যায় যে, ব্যথানাশক ওষুধ সেবনও জরুরি হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকদের মতে, জরায়ুর স্বাভাবিক সঙ্কোচন ও হরমোনের ওঠানামার ফলেই এই ব্যথা দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওষুধের পাশাপাশি ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে যোগব্যায়ামের ভূমিকা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক নিয়মে কিছু নির্দিষ্ট যোগাসন অনুশীলন করলে মাসিকের যন্ত্রণা অনেকটাই কমানো সম্ভব। এই যোগাসনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জানু শীর্ষাসন।
কী ভাবে করবেন?
১) দুই পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। তার পর ভাঁজ করা পা মাটিতে ঠেকান।
২) ডান পায়ের পাতার নীচের দিকটি বাঁ ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকবে আর বাঁ পা সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকবে।
৩) দু’হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। শরীর ঝুঁকিয়ে কপাল বাঁ পায়ের হাঁটুতে এবং দু’কনুই বাঁ পায়ের দু’পাশে মেঝেতে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গি ধরে রাখুন।
৪) এ বার অগের অবস্থানে ফিরে আসুন। একই ভাবে ডান পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এখন বাঁ পায়ের হাঁটু ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। ওই পায়েও একই ভাবে আসনটি করতে হবে।
৫) তার পর সোজা হয়ে দু’পা ছড়িয়ে বসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এ ভাবে পা বদল করে আসনটি ৫ বার করুন। প্রতি রাউন্ডের পরে শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে।
উপকারিতা:
১) আসনটি অভ্যাস করলে ঋতুস্রাবজনিত যাবতীয় সমস্যর সমাধান হবে।
২) রজোনিবৃত্তির সময় এগিয়ে এলে আসনটি অভ্যাস করতে পারেন। এতে রজোনিবৃত্তি পর্বের সমস্যাগুলি কম হবে।
৩) আসনটি অভ্যাস করলে পেটের মেদ কমবে।
৪) শরীরের নিম্নাংশের পেশির স্ট্রেচিং হয়, এই আসন করলে।
৫) শরীরের গড়ন সুন্দর করতেও আসনটি করতে পারেন।
কারা করবেন না?
১) যাঁদের হার্নিয়ার মতো রোগ আছে, রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আসনটি করা উচিত নয়।
২) হাঁটুর সমস্যা থাকলে এই আসনটি এড়িয়ে চলাই ভাল।
