দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- সুগার হলেই খাবার নিয়ে নানা
চিন্তা মাথায় ভিড় জমায়। ভাত নাকি রুটি, সবজির পরিমাণ কতটা থাকবে, এই সংক্রান্ত নানা
প্রশ্ন থাকে। চিকিৎসকরা অনেক সময়, সুগারের ক্ষেত্রে রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে গম নয়, ৫ ধরণের আটার রুটি খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার।
রাগির আটা- প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে রাগির আটায়। এই ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রাগির আটার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। যা রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে রাগির আটা।
বেসনের আটা- ডায়াবেটিসের রোগীদের বেসনের আটা খুবই উপকারী। ফাইবার ভরপুর থাকে বেসনের
আটায়। সহজে হজম হয় না বলে এটি সুগারের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। মেটাবলিক রেটও ঠিক রাখে।
একইসঙ্গে ডায়াবেটিসে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ
বেশি থাকলে বেসন দিয়ে তৈরি রুটি খান।
মিলেটের আটা- বাজারের সহজেই পাওয়া যায় মিলেটের আটা। ফাইবার
সম্বৃদ্ধ হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের এই আটা খেলে কোনও সমস্যা হয় না। ফলে ব্লাড সুগার
বেশি থাকলে গমের বদলে এই আটা খেতে পারেন।
জোয়ারের আটা- গ্লুটেন-ফ্রি খাবারের খোঁজে থাকলে জোয়ারের আটা
দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন। উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবারে
ভরপুর জোয়ারের আটা। এটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম থাকে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে।
ওটসের আটা- ডায়াবেটিসের রোগীরা ওটসের তৈরি আটা খেতে পারেন। এই দানাশস্যের আটা থেকে তৈরি রুটি ময়দার তৈরি খাবারের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।