দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ওজন বৃদ্ধি এখন শুধু জাতীয় নয়,আন্তর্জাতিক সমস্যাও। সভ্যতার বিকাশের কারণে এক শ্রেণীর মানুষের শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই কমে যাচ্ছে। যার অবধারিত পরিণাম ওজন বৃদ্ধি। আর এই ওজন বৃদ্ধি নিয়ে আসে একাধিক মারন রোগ। শরীরতত্ত্ববিদেরা বলেন, সাঁতার কাটা হলো শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম। কিন্তু এখন পুকুর, জলাশয় সর্বত্র পাওয়া যায়না, যেখানে সাঁতার কাটা যায়। তাই দ্বিতীয় সর্বোত্তম ব্যায়াম অর্থাৎ হাঁটাকেই আমাদের অভ্যাস করতে হবে। তবে হাঁটার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে। তাহলেই হাঁটার এফেক্ট আমরা বুঝতে পারব। নিয়মিত হাঁটলে বিবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতাও মেলে। ওজন কমানোর জন্য হাঁটা দুর্দান্ত ওয়ার্কআউট। বিশেষ করে যাঁদের সারাদিন অফিসের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাজ করতে হয় তাঁদের জন্য। পেটের চর্বি কমাতে অব্যর্থ দাওয়াই হাঁটা। ওজন কমানোর জন্য আজ থেকে রুটিনে হাঁটা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
∆ হার্ট সচল রাখতে - কিভাবে কতটা হাঁটবেন?
শরীরতত্ত্ববিদদের পরামর্শ, হাঁটা হল সর্বোত্তম ব্যায়াম। যা কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। একজন ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার পা হাঁটা উচিত। তাহলে সুস্থ থাকবে হার্ট। তারপর ১৫ হাজার পা হাঁটার চেষ্টা করুন। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রথমেই ১৫ হাজার পা হাঁটবেন না। ৫ হাজার দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর একবারেই না হাঁটলেও চলবে। দিনে তিনবার ২০ মিনিট করে হাঁটার সময় দিন।
∆রক্তচাপ,কোলেস্টেরল,সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে - উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে দ্রুত হাঁটা। প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার পা হাঁটুন। এড়াতে পারবেন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি। এছাড়াও হাঁটা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা প্রতিরোধেও সাহায্য করে। মেজাজ ফুরফুরে করে হাঁটা। কমায় স্ট্রেস লেভেল।
নিয়মিত হাঁটুন, সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বাঁচুন।