কলকাতা, ২৪ আগস্ট : শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পড়ছে নীল সাদা মোড়ক। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একটা বড় অংশ। অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যক্ষ রাজনীতি ঢুকে পড়ছে ময়দানে।
এ ব্যাপারে একটি সংবাদপত্রের খবর সামাজিক মাধ্যমে আসার এক ঘন্টায়, বুধবার সকাল ১০টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার এসেছে যথাক্রমে ৩৫০, ৭৭ও ১৬টি। মানস কুমার রায় লিখেছেন, “দুটো ক্লাবেই চটিচাটাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমাদের প্রিয় রঙ আমাদের ভালবাসা। লাল হলুদ বা সবুজ মেরুন।
ধ্রুবজ্যোতি মিত্র লিখেছেন, “যে যে মোহনবাগানের সমর্থক এতে আনন্দ পেয়ে মন্তব্য করছেন অথবা হাসছেন তাদের ক্লাবও এর থেকে দূরে নেই। সবাই জানে এই দুটো ক্লাবে কি ভাবে রাজনীতি এখন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে গেছে।“
সায়ন্তন চৌধুরী লিখেছেন, “লোগোতে কী “হাওয়াই চটি” না “আলকাতরা লাগা….” থাকছে? টিম-এর নাম টা বদল করে “করাপশন ইলেভেন” রাখা হোক!ঋতুপর্ণা গাঙ্গুলি লিখেছেন, “অসহ্য!” তনয় বসু লিখেছেন, “একজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হিসেবে লজ্জিত আমি লাল হলুদ শুধু দুটি রং নয় এটা ছিন্ন মূল বাঙ্গালীর লড়াই এর প্রতীক আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি।“
সন্দীপ মল্লিক লিখেছেন, “দেখ মাচা আমরা কেমন চটি চেটে সরকারি ক্লাব হচ্ছি! শিবাজী মহারাজ লিখেছেন, “এবার ওই ক্লাবের পতন নিশ্চিত আজ পর্যন্ত যেটা স্পর্শ করেছে সেটাই শেষ হয়ে গেছে।“ অমিতাভ বর্ধন রায় লিখেছেন, “আবেগের কোনো মূল্য নেই? খুব খারাপ এই সিদ্ধান্ত যদি সত্যি হয়। অনিকেত ভট্টাচার্য লিখেছেন, “চটি চাটা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এবারেও জয় বাংলা, মমতা জিন্দাবাদ বলে লাফালাফি করবে।“
প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পুরো কার্ডটা হয়েছে নীল সাদা মোড়কে আগে ছিল লাল হলুদ। যদিও ওপরে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের লোগো আর ক্লাবের নাম থাকছেই। লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এড়িয়ে যান এই প্রসঙ্গ। সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, “এতে রাজনীতি আসছে কোথা থেকে! আমাদের ক্লাবে কখনও রাজনীতি ঢোকেনি আর ঢুকবেও না। যা করা হয়েছে সবটা ভেবেচিন্তেই করা হয়েছে। এটা ক্লাবের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।”