দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : সুস্থ শরীরের মূলে রয়েছে এক সচল ও সতেজ মস্তিষ্ক। তবে আধুনিক জীবনের দৌড়ঝাঁপে মনোযোগ ধরে রাখা যেন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। অনেকেই হঠাৎ হঠাৎ ভুলে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্য। গবেষণা বলছে, প্রযুক্তির দাপটে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত তথ্যের চাপ এসে পড়ছে মস্তিষ্কে, ফলে স্মৃতির ওপর বাড়ছে ভার। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই—বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে স্মৃতিশক্তিকে অনেকটাই ধারালো করা সম্ভব। এর মূল চাবিকাঠি ‘অ্যাসিটোকোলিন’ নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্মৃতিশক্তির সঙ্গী অ্যাসিটোকোলিন
অ্যাসিটোকোলিন হল এক গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার, যা আমাদের মস্তিষ্কে শিক্ষা, মনোযোগ, উদ্দীপনা ও স্মৃতি গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কা, বিশেষ করে অ্যালঝাইমার্স, অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রা ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। গবেষণা বলছে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরে অ্যাসিটোকোলিনের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।
‘অ্যাসিটোকোলিন’ বৃদ্ধি করতে
১) প্রখর স্মৃতিশক্তির জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। কারণ, ঘুমের সময়েই মস্তিষ্কে অ্যাসিটোকোলিনের ক্ষরণ হয়। তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
২) স্মৃতিশক্তিকে ব্যবহার করেই স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। তাই অ্যাসিটোকোলিন বৃদ্ধি করতে দাবা খেলা, ধাঁধার সমাধান করা বা বই পড়া উচিত। নতুন ধরনের কোনও কাজ শিখলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৩) কাজের চাপ, অবসাদ অ্যাসিটোকোলিনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। সেখানে যোগাভ্যাস, শরীরচর্চা, ধ্যান মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্ক ও নিউরোট্রান্সমিটারের মধ্যে যোগাযোগ সচল থাকে।
৪) যে সমস্ত খাবারে ‘কোলিন’ নামের এক পুষ্টি উপাদানের মাত্রা বেশি, তা খেলে অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। যেমন, ডিম, বাদাম, চর্বি যুক্ত মাছ, পালং শাক খাওয়া যেতে পারে।
৫) অ্যাসিটোকোলিন বৃদ্ধি করতে প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিজাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত মদ্যপান করা উচিত নয়।