দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বুধবার জামাইষষ্ঠী। সেজেগুজে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা। তার পর সেখানে জামাই আদর। পেটপুরে মাছ-মাংস খাওয়া। আবার সুন্দর একটি উপহারও পাওয়া। কিন্তু উপহার তো পেলে হবে না আপনাকে দিতেও হবে। শাশুড়িমায়ের উপহারটি কিন্তু স্পেশাল হতেই হবে। তাতেই যেমন তিনি খুশি হবেন, আপনার গিন্নির মুখেও হাসি ছড়িয়ে যাবে।
সাধারণত জামাইদের মধ্যে উপহার হিসেবে শাড়ি নেওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। তা নিতেই পারেন। শাশুড়ির পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শাড়িটি কিনবেন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর মতামত অবশ্যই নেবেন।
এখন কিন্তু অনেকেই শাড়ি ‘অকেশনালি’ পরেন। সেক্ষেত্রে শাড়ির বদলে ভালো চুড়িদার বা কুর্তি নিতে পারেন। একটু হালকা রং নেবেন। যা চোখে আরাম দেয়। আবার সূতির পোশাককে প্রাধান্য বেশি দেবেন। তাঁর আভিজাত্য আলাদা। তার সঙ্গেই একটা ইউনিক জুয়েলারি সেট যোগ করে দিন।
চা কিংবা কফি। কমবেশি সকলেই খেতে ভালোবাসেন। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে বিশেষ কাপ বানাতে পারেন। শ্বশুর-শাশুড়ির পছন্দের মানুষের ছবি দিয়ে বা নিজে হাতে বিশেষ কোনও বার্তা লিখে দিন। বাজারে সহজেই এই ধরনের কাস্টোমাইজড কাপ পেয়ে যাবেন। সেটিকে সাজান নিজের মতো করে। ব্যস! এক ঢিলে দুই পাখি। শাশুড়ির পাশাপাশি শ্বশুরমশাইও খুশ।
পারফিউম কাউকে দেওয়ার পক্ষে আদর্শ উপহার। যাকে বলে ‘সস্তায় পুষ্টিকর’। অনেক ভালো ভালো ব্র্যান্ডের পারফিউম রয়েছে যা পাঁচশো টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। চাইলে ছোট্ট আতরের শিশিও দিতে পারেন। এতে আবার সাবেকিয়ানার ছাপ থাকবে।
আপনার শাশুড়িমা সাজতে ভালোবাসে তাহলে তাঁকে উপহার দিতেন তাঁর পছন্দের প্রসাধনী। হাতেই বানিয়ে নিন একটা বাক্স। ফুল দিয়ে সাজান সেটিকে। তার পর বাক্সে নানাধরনের প্রসাধনী জিনিস দিয়ে সঙ্গে রাখতে পারেন একটি চকোলেটও।
উপহার যেমনই হোক। তাতে যেন থাকে অভিনবত্ব। সঙ্গে থাকুক আপনার স্পেশাল টাচ। সেটা প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে করতে পারেন। হ্যাঁ, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় কিন্তু হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিতে ভুলবেন না। এতেই হবে মধুরেণ সমাপয়েৎ।