
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছিল। কেন কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর বিবৃতি জারি করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে যেভাবে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে যে নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলেছে, তার বলি হতে হয়েছে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে। ময়মনসিংহের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আগেই সরব হয়েছিল ভারত। শুক্রবার পুনরায় সেই সুর বজায় রেখে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “হিন্দু যুবককে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভারত সরকার চায়, এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের যেন দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।”ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রায় ২,৯০০টি ঘটনা নথিভুক্ত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে আগেই বিবৃতি দিয়েছি। বাংলাদেশ যে বিকৃত ভাষ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা-ও খারিজ করা হয়েছে।” সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি আর উপেক্ষা করা যায় না বলেও জানিয়েছে মোদি সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগের বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারত। সংখ্যালঘুদের উপরে যে ভাবে হামলা করা হচ্ছে, সে নিয়ে ভারতীয় আধিকারিকেরা বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। দীপুকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে, ভারত তার বিচার চায়। জায়সওয়াল বলেছিলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নিবিড় ভাবে নজর রেখেছে ভারত। সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আধিকারিকেরা যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন— তা তাঁদের জানানো হয়েছে। দীপুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভারত সেই আবেদন জানিয়েছে।”
