দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বীরভূমের দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বর মন্দিরে মা কালীর বিসর্জন হল একাদশীতে। পাহাড়েশ্বরের মা কালী বিসর্জন হয় না সারাবছর। পুজোর পর মন্দিরেই থাকে মায়ের মূর্তি, এক বছর পর দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন দাস পরিবারের সদস্যরা বিসর্জন দেন মূর্তি।
দাস পরিবারের সদস্য গুরুপদ দাস জানান, শতাব্দী প্রাচীন এই শ্মশানকালী বিজয়া দশমীর পরের দিন বিসর্জিত হয়ে আসছে কয়েক যুগ থেকে। এই বিসর্জনের অধিকার পায় দাস পরিবারের সদস্যরা এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই কালীর মূর্তি তৈরি করেন। নিত্যদিন এই কালীমন্দিরে মা কালী পূজিতা হন।
তবে কালীপুজোর দিন রাতে মা কালীর বিশেষ পুজো হয়। মূর্তি গড়া থেকে মূর্তি পুজো সবটাই করেন বৈষ্ণবরা। একাদশীর রাতে বিসর্জনের পর নতুন মূর্তি বানাতে শুরু করেন বৈষ্ণবরা এবং এই মায়ের পুজো করেন বৈষ্ণবরা। রীতি মেনে বহু বছর আগে থেকে এমনটাই হয়ে আসছে।
বিসর্জনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা থাকে চরমে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষরা আসেন এই বিসর্জন দেখতে। শিকল এবং দড়িতে বেঁধে মা কালীকে বেদী থেকে নামানো হয়। পুলিশ প্রশাসন এবং পুরসভার সহযোগিতায় এই বিসর্জন হয়।