কলকাতা : নবান্নের তরফে এ বছর মোট ১০৪টি পুজোকে বিশ্ববাংলার শারদ সম্মান দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকাতে রয়েছে লুমিনাস ক্লাবের পুজো। সেই সম্মান গ্রহণ করেছেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু বুধবার তারা প্রত্যাখ্যান করল রাজভবনের দেওয়া পুরস্কার। সেই সঙ্গে রাজভবনের দেওয়া ‘দুর্গারত্ন’ প্রত্যাখ্যান করল টালা প্রত্যায়ও।
নিঃসন্দেহে এই জোড়া প্রত্যাখ্যান রাজভবনের কাছে রীতিমত অস্বস্তিকর। যে দিন কল্যাণীর এই ক্লাবে পুজো মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, সে দিন ধারে-কাছেও দেখা মেলেনি পুজো কমিটির প্রায় কারও। বিতর্কও হয়েছিল তা নিয়ে।
প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে পুরস্কার দিলে প্রাপকরা তা প্রত্যাখ্যান করবেন না, এই মর্মে কেন আগাম মুচলেকা নেওয়া হল না ঘোষিত চার প্রাপক সংস্থার কাছ থেকে? তাহলে এভাবে রাজভবনের মুখ পুড়ত না।
কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব প্রকাশ্যে দাবি করেছে, পুরস্কার বাবদ তাদের পুজোর জন্য বরাদ্দ ওই এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দেওয়া হোক। প্রায় একই মন্তব্য করেছেন টালা প্রত্যয়ের ক্লাব কর্তারা। মঙ্গলবার রাতে দুর্গারত্ন নামে পুরস্কারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তার পর এক দিন না কাটতেই এই জোড়া প্রত্যাখ্যান অনেকের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। বিশেষ করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রাজভবনের পুরস্কারের জন্য মনোনীত না হওয়াও তৈরি করেছে প্রশ্ন।