নদিয়া, ২১ নভেম্বর : জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে খুশির আমেজ কৃষ্ণনগরে। নানা থিমের সাজে সেজে উঠেছে মণ্ডপগুলো। ১২ কেজি সোনার অলঙ্কারে ভূষিত হয়েছে কৃষ্ণনগর চাষা পাড়ার ঐতিহ্যময়ী বুড়িমা। সোমবার সন্ধ্যে থেকেই বুড়িমাকে অলঙ্কার পরানো শুরু করেন পুজোর কর্মকর্তারা। আর তা দেখতেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে চাষাপাড়া বারোয়ারি প্রাঙ্গণে। পুজো কর্মকর্তাদের থেকে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ১২ কেজি সোনার অলঙ্কারে ভূষিত করার কথা চলতি বছরে বুড়িমাকে।
কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাই স্কুল প্রাঙ্গনে শক্তিনগর এমএনবি ক্লাবের পরিচালনায় এবছর জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে তাঁরা তৈরি করেছেন চীনের বৌদ্ধ মন্দির। সম্পূর্ণ প্যান্ডেলটি নির্মাণ করা হয়েছে বোতল চামচ সরঞ্জাম দিয়ে। মন্ডপের ভেতর এবং বাইরে নিখুঁত কারুকার্য দেখতে ইতিমধ্যে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। সম্পূর্ণ মণ্ডপে রয়েছে একাধিক বুদ্ধ মূর্তি। মন্ডপের ভেতরে রয়েছে আলো এবং ঝাড় লন্ঠনের কারুকার্য। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে অন্যতম পুজো এমএনবি বারোয়ারীর পুজো। প্রত্যেক বছরই জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিশেষ কিছু ভাবনা দিয়ে মন্ডপ নির্মাণ করে দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরেন তারা। এ বছরে তাদের পুজো ৩৮ তম বছরে পদার্পণ করেছে।
কৃষ্ণনগর উত্তর কালিনগর রেনবো ক্লাবের ৫৭ তম বরষে এ বছরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে তাঁদের মন্ডপ ভাবনা, বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির। বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে তাঁরা অবিকল তুলে ধরেছেন বৃন্দাবনের বিখ্যাত প্রেম মন্দির। প্রত্যেক বছরই অসংখ্য ভক্তরা বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির দর্শন করতে যান। অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে দর্শন করতে যেতে পারেন না। তাঁদের জন্যই ক্লাব রেনবোয় চলতি বছরের ভাবনায় তাঁরা ফুটিয়ে তুলেছেন বৃন্দাবনের বিখ্যাত প্রেম মন্দির। তিরঙ্গা রঙে গোটা মন্ডপটি আলোক সজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসংখ্য দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বুকে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির দেখার উদ্দেশ্যে।