দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিপদ থেকে দশমী, এই বাড়িতে পুজো অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দশদিন ধরে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী, এই তিনদিনই সম্পন্ন হয় কুমারী পুজো। এই বাড়িতে পুজোয় দেবীকে দেওয়া হয় না কোনো অন্নভোগ। বদলে দেওয়া হয় লুচি, মিষ্টি, বোঁদে। পুরনো রীতি মেনে আজও ঠাকুরদালানে বাড়ির মহিলারা প্রতিমার বাঁদিকে এবং পুরুষরা ডানদিকে দাঁড়ান। কোন বাড়ির পুজোর কথা বলা হচ্ছে? হয়তো কিছুটা কল্পনা করছেন আপনিও। এখানে বলা হচ্ছে রানি রাসমণির বাড়ির পুজোর কথা। এই বাড়ির সাথেই জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের এক স্মৃতি।
একবার দুর্গাপুজোর সময় রাসমণির বাড়িতে রামকৃষ্ণ এসেছিলেন মহিলার বেশে। তাঁকে দেখে কেউ চিনতেই পারেননি বলে জানা যায়। সন্ধ্যারতির সময় ‘সখীবেশ’-এ দুর্গাপ্রতিমাকে চামর দিয়ে বাতাস করছিলেন স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ। শোনা যায় পুজোর দালানে মথুরবাবু দেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী জগদম্বাদেবীর পাশে একজন স্ত্রীলোক মাতৃপ্রতিমাকে চামর দিয়ে বাতাস করছেন। তিনি চিনতে না পারলেও ভেবেছিলেন হয়তো নিমন্ত্রিত কোনও অতিথির স্ত্রী। পরে যখন তাঁর স্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জগদম্বাদেবী বলেছিলেন যে, তাঁর পাশে চামর হাতে ভাবাবস্থায় ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।