Festival and celebrations

1 year ago

Kali Puja 2023: রক্ষাকালী, শ্যামাকালী ও দক্ষিণাকালী, কোন বিশেষত্বে চিনবেন এদের?

Godess Kali (File Picture)
Godess Kali (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কালের নিয়ন্ত্রণকারী দেবী কালী দশমহাবিদ্যার এক অংশ। দেবীর পদতলে শবের মত শুয়ে থাকেন শ্মশানবাসী ভোলা মহেশ্বর।  চতুর্ভুজা, লোলজ্বিভা, এলোকেশী। ধ্যানমন্ত্র অনুসারে এই রূপ বর্ণনায় কোনও ভুল নেই। তবে কালী মানেই যে শুধুমাত্র এই একমাত্র রূপ তা কিন্তু নয়। দেবীর আরও একাধিক রূপের পুজোর চল রয়েছে। 

মূলত তিনটি রূপ সামনে আসে। প্রথমে, শ্যামাকালী। এই দেবীর গাত্রবর্ণ নীল। দিগম্বরী নন। কোথাও শাড়ি কোথাও ডাকের সাজ দেখা যায়। দেবী নানা অলঙ্কারে ভূষিতা। তবে বাদবাকি ক্ষেত্রে কালীর ধ্যানমন্ত্রের সঙ্গেই এর সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। অর্থাৎ ইনিও লোলজিহ্বা। পদতলে মহাদেব। কার্ত্তিক অমাবস্যায় যে কালীপুজোর চল রয়েছে, সেখানে মূলত এই দেবী মূর্তিই দেখা যায়। কোথাও কোথাও দেবীর গায়ের রং কৃষ্ণবর্ণও হতে পারে। তবে আপাতভাবে কৃষ্ণবর্ণের কালী মূর্তির আরও এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিখ্যাত সব কালীমূর্তি, তথা ভবতারিণী, করুণাময়ী, সিদ্ধেশ্বরী, সবার ক্ষেত্রেই এই বিশেষ বৈশিষ্ট দেখা যায়। আর তা হল, দেবী মূর্তির পায়ের অবস্থান। আপাতভাবে কালীর ধ্যানমন্ত্রে পায়ের অবস্থান সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট করা না থাকলেও, এই মূর্তিতে দেবীর দক্ষিণ বা ডান পা এগিয়ে থাকে। দেবী নির্দিষ্টভাবে তাঁর ডান পা সামনে এগিয়ে মহাদেবের বুকে পা রেখেছেন। বলা বাহুল্য, এর সঙ্গেই দেবীর লোলজিহ্বার সম্পর্ক টানেন অনেকেই। যেহেতু মহাদেব দেবীর স্বামী, তাই তাঁর উপর পা রাখা মাত্র দেবী জিভ কেটেছেন। তবে এ ব্যাখ্যা নিতান্তই প্রচলিত। শাস্ত্রে এর তেমন উল্লেখ নেই। সুতরাং শ্যামাকালী আর দক্ষিণাকালীর মধ্যে অমিল বলতে স্রেফ গাত্রবর্ণ এবং পায়ের অবস্থানে। বাকিটা কালীর ধ্যানমন্ত্রের সঙ্গেই মিলে যায়। কার্ত্তিক অমাবস্য্যায় দেবীর এই দুই মূর্তিরই পুজো হয়। অধিকাংশ মন্দিরে দক্ষিণাকালী, এবং মণ্ডপে মূলত শ্যামাকালী। তবে এ ছাড়াও দেবীর একটি বিশেষ রূপের পুজোর চল রয়েছে। তিনি দেবী রক্ষাকালী। দক্ষিণাকালী মূর্তির মতোই, ইনিও কৃষ্ণবর্ণা। তবে দেবী লোলজিহ্বা নন। এমনকি দেবীর হাতের সংখ্যা দুটি। সাধারণত দেবীর এই রূপের পুজো হয় বৈশাখ মাসের শেষের দিকে। গ্রামে গ্রামে দেবীর বাৎসরিক পুজোর চল রয়েছে, তবে শ্মশানকালীর প্রচলিত মূর্তিটিও ঠিক এমন। কলকাতার বিখ্যাত কেওড়াতলা মহাশ্মশানে দেবীর এই রূপেরই পুজো হয় কার্ত্তিক অমাবস্যায়। তবে দেবীর অন্যান্য মূর্তি, যেমন গুহ্যকালী, মহাকালী বা বিশেষ কিছু তন্ত্রোক্ত রূপের পুজো করার অধিকার নেই সাধারণ কারও। কেবলমাত্র তন্ত্রবিদ্য্যায় পারদর্শী কেউ দেবীর এইসব বিশেষ রূপের পুজো করতে পারেন।


You might also like!