দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আর মাত্র ২১ দিন বাকি, তারপরই
দুর্গাপুজো। খুশির আনন্দে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। তবে পুরুলিয়ার কাশিপুর থানার ভালাগোড়া
গ্রামে মহিষাসুরের আরাধনা করেন বাসিন্দারা। নবমীর দিনে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের
তামাম মানুষ হুদুড় (হিন্দু ধর্ম মতে মহিষাসুরের) দুর্গা পুজো করেন। সাঁওতাল খেরওয়াল
জনগোষ্ঠীর উপাস্য দেবতা হল হুদুড়।
কথিত আছে, হুদুড় নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি প্রবল বলশালী
রাজা ছিলেন। আর্যরা ভারতে আসার পর কোনও মতে তাঁকে পরাজিত করতে পারছিল না। গুপ্তচরের
মাধ্যমে আর্যরা জানতে পারে যে রাজা নারী বৎসল। তাই আর্যরা রাজাকে হত্যা করার জন্য এক
সুন্দরী নারীকে রাজার আশ্রিতা করে পাঠান। রাজা হুদুড় তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিবাহের
প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। সাত দিন তাঁরা একত্রে বসবাস করার পর অষ্টম দিন রাতে ছলনার
আশ্রয় নিয়ে ওই নারী রাজাকে হত্যা করেছিলেন। সেই সময় আর্যরা রাজ্য আক্রমণ করে। প্রজারা
ভয়ভীত হয়ে ধর্মগুরুর স্মরণাপন্ন হলে তিনি সকল প্রজাকে নদীতে স্নান করে নারী বেশ ধারণ
করে নৃত্য করতে করতে পালাতে বলেন। কারণ আর্যরা নারীদের আক্রমণ করে না। এই ভাবে প্রজারা
রক্ষা পান।
দুর্গা পুজোর সময় পুরুষরা নারীবেশ ধরে যে নৃত্য করে তাকে ধাসাই নাচ বলে। রাজার মৃত্যুর কারণে নবমীর দিনে আদিবাসী সাঁওতাল খেরাওয়াল সম্প্রদায়ের মানুষ হুদুড় তথা মহিষাসুরের পুজো করেন। করা হয় স্মরণ সভা। এদের মত হুদুড় নায়ক দুর্গা খলনায়িকা। এটিকে হুদুড় দুর্গাপুজো বলা হয়।