দুরন্ত বার্তা
দিজিতাল ডেস্কঃ- রাজা সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো সকলের কাছে অতি পরিচিত। ঠিক
তেমনি কালীপুজোর কাহিনিও গায়ে কাঁটা দেয় জন সাধারণের।
দক্ষিণ চব্বিশ
পরগনার জয়নগরের ময়দা নামক স্থানে পূজিত হয়ে আসছেন এই পাতালভেদী দক্ষিণাকালী । কালীপুজোর
রাতে হাজার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান এই পুজো দেখতে । এই কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা
রাজা সাবর্ণ রায়চৌধুরী । এই কালী পুজোকে ঘিরে রয়েছে অনেক কাহিনি।
কথিত আছে, জঙ্গলে
ঘেরা এক পথ দিয়ে বাণিজ্যে যেতেন রাজা । একদিন নদীর ধারে একটি বকুল গাছের ডালে এক বালিকাকে
দোল খেতে দেখেন । তাঁকে দেখে আশ্চর্য হন রাজা । সেই বালিকা রাজাকে এতটাই মুগ্ধ করেছিল
যে পরে আবার খোঁজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শত খোঁজ করলেও তাঁর দেখা আর পাননি।
পরে তিনি একদিন
স্বপ্নাদেশ পান, ওই বকুল গাছের কাছেই মাটির নীচেই রয়েছেন দেবী দক্ষিণাকালী। আর তিনি
নির্দিষ্ট সময়ে পাতাল ভেদ করে উঠবেন । দেবী তাঁকে পুজোর ব্যবস্থার কথা জানান। তার
পরেই এই স্থানে এক মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সাবর্ণ রায়চৌধুরী ।
প্রচলিত কথা
অনুযায়ী, বহুবার রাজা শিলাকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন । এমনকি, হাতি দিয়েও তোলার
চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই সেই মূর্তি তুলে আনা সম্ভব হয়নি। একদিন হঠাৎ নির্দিষ্ট
সময়ে নিজে থেকেই মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে সেই স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত শিলা মূর্তি। সেই
শিলাকেই দেবীরূপে পুজো করা হয়।