
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীত এলেই বাঙালির মিষ্টির তালিকা যেন আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। নতুন গুড়ের সন্দেশ-রসগোল্লা, নানারকম পিঠে-পায়েস, কেক-কুকির পাশাপাশি শীতকাল মানেই আরেকটি বিশেষ মিষ্টির মরসুম— গাজরের হালুয়া। টাটকা গাজর, ঘি, দুধ, খোয়া ক্ষীর আর চিনি দিয়ে ধীরে ধীরে কষিয়ে, তার ওপর কাজু-কিশমিশ-পেস্তা ছড়িয়ে তৈরি এই মিষ্টির স্বাদ একবার খেলে সহজে ভোলার নয়। অনেকেই শীত পড়তেই বাড়িতে গাজরের হালুয়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। তবে নিখুঁত স্বাদ পেতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
গাজরের হালুয়া বানানোর সময় যে পাঁচটি বিষয় খেয়াল রাখবেন—
১। গাজরের হালুয়ার জন্য তরতাজা লাল গাজর সবচেয়ে ভাল। পুরনো গাজরে বা যে গাজর নরম হয়ে গিয়েছে, তাতে জলের ভাগ বেশি থাকে। রান্না করার সময় জল বেশি ছাড়লে তার প্রভাব পড়ে স্বাদেও। গাজরের হালুদার স্বাদ খানিকটা হালকা হয়ে যায়।
২। গাজরের হালুয়া রান্না করার সময় তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। সময় নিয়ে এবং ধৈর্য ধরে ঘিয়ে ভাল ভাবে কোরানো গাজর ভাজতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে গাজর অনেক জায়গায় কাঁচা থেকে যেতে পারে। আর কাঁচা গন্ধ থাকলে তা গাজরের হালুয়ার স্বাদ এবং গন্ধ, দুই-ই নষ্ট করে দিতে পারে।
৩। গাজরের হালুয়ায় দুধ দেওয়া হয়। হালুয়ার যে ঘন স্বাদ, তা দুধ না দিলে পাওয়া যাবে না। তবে দুধ বেশি দিলেও চলবে না। বেশি দুধ পড়লে হালুয়া ভারী এবং চটচটে হয়ে যাবে। খেতে ভাল লাগবে না। দুধ যথাযথ পরিমাণে দিলে হালুয়ায় এক ধরনের মসৃণ ক্রিমের মতো ভাব আসবে। গাজর দলা পাকিয়ে যাবে না।
৪। কখন চিনি দিচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করবে স্বাদ। গাজর পুরোপুরি নরম হওয়ার পরেই চিনি দিতে হবে। তা না হলে চিনি থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে রান্নার প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা শ্লথ করে দেবে। হালুয়া ঘন হতেও সময় লাগবে।
৫। ঘি ছাড়া গাজরের হালুয়া ভাবাই যায় না। হালুয়ার যে মসৃণ ভাব এবং সুগন্ধ, তার পুরোটাই আসে ঘি থেকে। তাই ঘিয়ের ব্যাপারে কার্পণ্য করলে চলবে না। গাজর ভাজার সময় পর্যাপ্ত ঘি দিন। ঘি দিয়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন কাজু-কিশমিশও। রান্নার শেষে ঘি ছড়িয়ে দিন। মনে রাখবেন, পর্যাপ্ত ঘি না পড়লে হালুয়ায় শুকনো ভাব আসবে। নষ্ট হয়ে যাবে স্বাদও।
