দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে বাঙালির
ঘরে ঘরে পূজিতা হন মা লক্ষ্মী। সারা রাত জেগে এই মা লক্ষ্মীর পুজোয় ব্রতী থাকেন মহিলারা।
সেই মন্দিরে মন্দিরেও হয় শঙ্খধনি। তবে রাজ্যের একমাত্র লক্ষ্মী মন্দির তালা বন্ধ হয়ে
থেকে গেল।
ময়ূরেশ্বরের ঘোষগ্রামের লক্ষ্মী মন্দিরে ঘটেছে এই ঘটনা। মন্দিরের
অন্যতম সেবাইত গুরুচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “প্রথা মেনে প্রতি বছর ২৮ আশ্বিন সন্ধ্যারতির
পর মায়ের মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। খোলা হয় ২ কার্তিক। ভক্তদের বিশ্বাস এসময় মা পরিক্রমায়
বের হন। ২৯ আশ্বিন সকালে মন্দিরের সেবাইতরা মায়ের মন্দিরের প্রদীপ থেকে ৫১টি খড়ের
দড়ি পাকিয়ে পৌঁছে যান ৫১টি গ্রামে। প্রতি ঘরে সেই আগুন শিখা থেকে কৃষকদের ঘরে জ্বলে
ওঠে প্রদীপ শিখা। দুদিন পরে কৃষকেরা খড়ের দড়ির ভস্ম,পুষ্প, সিঁদুর নিয়ে চাষের জমির
ঈশান কোণে ধান গাছে ফুলের জন্য প্রার্থনা করে। প্রচলিত সেই রীতি 'ডাক সংক্রান্তি'।
এবছর কোজাগরী সেই ডাক সংক্রান্তিতে পড়েছে।”
ভক্তদের বিশ্বাস, ঘোষগ্রামে এককালে ধানের গাছে সরাসরি চাল
তৈরি হত। লক্ষ্মীদেবীর মন্দিরে সেই চালের গাছ রাখা আছে। দেড় হাজার বছর আগে হর্ষবর্ধনের
আমলে ঘোষগ্রামে নিমগাছের তলায় থাকা ব্রহ্মচারী কামদেব গোস্বামী লক্ষ্মীদেবীর দারুমূর্তি
প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্মীর গ্রাম হলেও কোনও বাড়িতে রাখা হয় না লক্ষ্মীর ঝাঁপি। কোজাগরীতে
বিশেষ পুজোর জন্য ভক্তরা লক্ষ্মীর মন্দিরে এসে হাজির হন। এবার তা হল না।