দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুজোর সময় ভিড় কাটাতে অনেকেই ভাবছেন একটু পাহাড় ঘুরতে যাবেন। কিন্তু কোথায় যাবেন ঠিক করে উঠতে পারছেন না। তবে তাঁদের জন্য আজ বিশেষ ভ্রমণের টিপস রাখা থাক। পুজোর ছুটিতে শহরের ঝঞ্ঝাট থেকে দুরে বেড়িয়ে আসুন এই কয়েকটি জায়গা।
১) নৈনিতাল: অনেক হ্রদ একত্রে থাকায় নৈনিতালকে বলা হয় 'লেক জিলা'। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আর দর্শনীয় নৈনি। চোখের আকৃতির প্রাকৃতিক তাজা হ্রদ। নয়-নয় করে সাতটা পাহাড় চূড়ায় ঘেরা নৈনি হ্রদ। এই শৈল শহরের আরেকটি মনোমুগ্ধকর জায়গা নয়না দেবী শক্তিপীঠ। ভীষণ পবিত্র হিসেবে সর্বজনবিদিত।
২) রানিক্ষেত: আলমোড়া জেলায় অবস্থিত এই ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের শৈলশহরের স্থানীয় নাম রানির দেশ। আপেল বাগান, পাইন গাছের সারি, ভ্যালু ড্যাম, গল্ফ গ্রাউন্ড, ঝুলা দেবী রামমন্দির- এ সব এখানকার দ্রষ্টব্যস্থান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদর দফতর রানিক্ষেতে। নৈনিতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রানিক্ষেত। সড়কপথে যাওয়া ভাল।
৩) হরিদ্বার: এই শৈল শহরের নামের অর্থ, প্রভূর প্রবেশদ্বার। হরিদ্বার কুম্ভ মেলার জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। হর কি পাউরি ঘাটে সন্ধেবেলায় গঙ্গা আরতি দেখার স্বাদ এক অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা। শোনা যায়, রাজা বিক্রমাদিত্য ভাইয়ের স্মরণে এই ঘাট নির্মাণ করিয়েছিলেন। ব্রহ্মকুন্ডে অত্যাশ্চর্য আরতি এক ঐশ্বরিক দৃশ্য। এছাড়াও ঘুরে দেখার মতো চিল্লা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, রাজাজি জাতীয় উদ্যান। সরাসরি ট্রেন বা বিমান যোগাযোগ না থাকায় হরিদ্বার সড়কপথে যাওয়া ভাল।
৪) দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর। অথচ নিরিবিলি, শান্ত, সমাধিস্থ, সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে এমন এক পবিত্র আবহ যে, মানুষ মাত্র এখানে মানসিক ভাবে শান্তি অনুভব করে। আবার পাশাপাশি ঘুরে দেখার মতো জায়গা প্রচুর। ‘শারধা’, যার অর্থ হাজার গুণ বসন্ততার জলপ্রপাতে সালফারের মতো দুষ্প্রাপ্য আকরিক সব সময় মেলে।
৫) মুসৌরি: মনসুর নামে এক ধরনের গুল্ম, তার থেকে এই শৈলশহরের নাম মুসৌরি। গাড়োয়াল পর্বতমালার পাদদেশে ব্রিটিশদের সাজানো পর্যটককেন্দ্র। ৭০০০ ফুট উঁচু। বরাবরের মতো এখনও দেশের অন্যতম সেরা হনিমুন তথা মধুচন্দ্রিমার জায়গা।